বহুল আলোচিত-সমালোচিত অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবাহ। কয়েক দিন আগে তার ‘আমি তোমায় দিলাম’ শিরোনামের একটি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে।
সম্প্রতি গানটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুবাহ। শুধু কাজ বা গান প্রসঙ্গই নয়, সেখানে সুবাহ কথা বলেন ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও।
সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে সুবাহকে বলতে শোনা যায়, “আমি সুগার মাম্মি হতে চাই, বয়স চল্লিশের পর।” এরপর এক প্রশ্নের জবাবে সুবাহ বলেন, “আগে আমার বয়স চল্লিশ হোক, তারপর বুক দিতে বলব।”
আরো পড়ুন:
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সাইফ আলী খান
বছর শেষে শুটিংয়ে ফিরবেন শাবনূর!
অভিনেত্রী সুবাহর এমন খোলামেলা মন্তব্য আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে বিষয়টিকে মজা হিসেবে নিয়েছেন, কেউ কেউ তার মন্তব্য নিয়ে কড়া সমালোচনা করছেন।
‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন সুবাহ। রফিক শিকদার পরিচালিত এই সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়ক শিপন মিত্র।
সিনেমার চেয়ে ব্যক্তিজীবন জীবন নিয়ে বহুবার আলোচনায় এসেছেন সুবাহ। সাবেক ক্রিকেটার নাসিরের পর গায়ক ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান এবং বিয়ে করেন। কিন্তু সেই সম্পর্কও টিকেনি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।