এতদিনে তার মাঠে ফেরার কথা ছিল। আঙুলের চোট কাটিয়ে বিপিএলে অংশগ্রহণ করেও ফেলতেন। কিন্তু ‘এইচএমপিভি’ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তার মাঠে ফেরা বিলম্ব হয়। তবে খুব বেশি দেরিও হয়নি।

বিপিএলে ফিরতে রংপুর রাইডার্স শিবিরে যোগ দিয়েছেন। গত কিছুদিন ব্যাট হাতে অনুশীলন করেছেন। এখন শুরু করেছেন ফিল্ডিং। দুয়েক দিনের ভেতরেই খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন বলে আশাবাদী সৌম্য।

সৌম্যকে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে পাবে সেই আশায় ছিল রংপুর। বিপিএলের আগে গ্লোবল টি-টোয়েন্টিতে রংপুর শিরোপা জেতে। সৌম্য টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন। ছিলেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়। নিজের পারফরম্যান্সের ওই ধারাবাহিকতায় জাতীয় দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও পারফর্ম করেন। কিন্তু ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পান। পরে তার পাঁচ সেলাই লাগে।

আরো পড়ুন:

অধিনায়ক হয়ে ‘২০০ শতাংশ’ দেওয়ার কথা বললেন পন্ত

বাবাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার বাইক কিনে দিলেন রিংকু

ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৩-০ ব্যবধানে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। সেই সাফল্যের পেছনের অন্যতম কারিগর সৌম্য জানালেন, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে গোটা দলে বিশ্বাসের রেণু ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। পেছনে ফিরে সেই গল্প শোনালেন সৌম্য, ‘‘সবাই যদি বিশ্বাস করি আমরা পারি তাহলে আমরা পারব। আমরা তো কেউ বিশ্বাসই করি না যে আমরা পারব। আগে নেতিবাচক কথা বললে তো হবে না। ওই টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আমি বলেছিলাম আমরা যদি তিন বিভাগে ভালো করতে পারি তাহলে জিতবে পারব যেকোনো দলের বিপক্ষে।’’

ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাওয়া যে সাফল্য সেখান থেকে আরও উন্নতি করার তাগিদ দিলেন সৌম্য, ‘‘ওখানে ভালো করেছি কিন্তু এখন সেখান থেকে কতটা উন্নতি করতে পারব সেটা হলো দেখার। বিপিএলে অনেক রান হচ্ছে। বোলাররা ভালো করছে। যদি এটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি তাহলে টি-টোয়েন্টিতেও উন্নতি করতে পারব। কারণ, আমরা জানব ২০০ রান কিভাবে করতে হয় নিয়মিত। ১০টা উইকেট কিভাবে নিতে হয়। এটা যত আমাদের আয়ত্বের ভেতরে থাকবে তখন আমরা ওখানে গেলে চাপে পড়ব না। আমরা চাপটা সহজ মানিয়ে নিতে পারব।’’

বিপিএলের শুরু থেকে খেলতে না পারার আক্ষেপ ঝরল তার কণ্ঠে, ‘‘যেহেতু মাঠে ফিরেছি এটা খুবই ভালো জিনিস। ইনজুরি ছিল একটু কঠিন সময় গেছে। সব থেকে কষ্ট ছিল বাসায় বসে খেলাগুলো দেখছিলাম। খেলাগুলো খেলতে পারছিলাম না এটা একটু কষ্টের জায়গা ছিল। খেলোয়াড় থাকলে তো ইনজুরি থাকবে এটা একটু মেনে নিতেই হবে। অনেক সময় থাকে যে, খেলা থাকে না তখন ইনজুরি আসে। ওই সময়ে এক ধরনের রিকোভারি হয়। এখন খেলা চলছে, ইচ্ছা ছিল শুরু থেকে খেলার। তাই একটা আফসোস ছিল।’’ 

‘‘দিনকে দিন ভালোর দিকে যাচ্ছে। এতোদিন ব্যাটিং করতে পারছিলাম না এখন ব্যাটিং করতে পারছি। ফিল্ডিংও আস্তে আস্তে করা শুরু করেছি। সময়ও বেশি লাগছে। মাঝখানে নতুন যে একটা ভাইরাস এসেছিল সেটাও হয়েছিল। এজন্য রিকোভারি করতে একটু সময় লেগে গেছে।’’

যেখানে সৌম্য সবশেষ থেমেছিলেন সেখান থেকেই আবার শুরু করার ইচ্ছা তার। যেই ফর্ম ধরে রেখেছিলেন সামনে সেটা আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় তার, ‘‘আমার দিক থেকে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি উন্নতি করার। উন্নতির তো অভাব নেই। অনেক উন্নতি করার আছে। শুধু আমার কাছ থেকে সবাই বড় ইনিংস চায় না, সব খেলোয়াড়দের কাছ থেকেই চায়। চেষ্টা করব সামনে যেন ইনিংস বড় হয়।’’

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি ছাড়া সব পদেই আ.লীগের জয়জয়কার

মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে আওয়ামীপন্থিরা ১৪টিতে জয় পেয়েছেন। সভাপতি পদ ছাড়া অন্য সব পদে তারা জয়ী হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী এমদাদুল হক খান। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়াকে ৭৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

এদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে ১৫৬ ভোটে পরাজিত করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মাহাবুব হোসেন (শাকিল)। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট ও জালালুর রহমান পেয়েছেন ১৩০ ভোট। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম মিয়া পেয়েছেন ২৯ ভোট (নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় পুনরায় গণনা অথবা লটারি করে বিজয়ী প্রার্থী নির্বাচন করা হবে)। সহ-সভাপতি পদে মাহবুব হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে শাকিলা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মশিউর রহমান পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ পদে সুজন ভৌমিক, সম্পাদক (লাইব্রেরি) পদে মুনীর হাসান, সম্পাদক (মহরার) পদে এ কে এম আজিজুল হক মুকুল নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী ৫টি পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিজয়ী ৫ জন হলেন সৈয়দা তাহমিনা খানম, এনামুল হক, আবদুস সালাম, ইকবাল হোসেন ও আবু সুফিয়ান। এ ছাড়া সম্পাদক (অ্যাপায়ন ও বিনোদন) পদে বদরুন নাহার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম মাওলা আকন্দ মুঠোফোনে জানিয়েছেন, মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ছাড়া ১৪টি পদেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী কিংবা সমর্থক বিজয়ী হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সরাসরি আওয়ামী লীগের পদে থাকা কোনো নেতা অংশগ্রহণ করেননি। আওয়ামী লীগের কোনো আইনজীবী নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তিনিও অন্য সবার মতন বিজয়ী হতেন বলে আমি মনে করি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন।

তবে এমদাদুল হক খান সভাপতি পদে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সমর্থন নিয়েই বিজয়ী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, সভাপতি পদে আওয়ামী লীগের কেউ প্রার্থী না হওয়ায় তাদের সমর্থক আইনজীবীরা নির্বাচনে মূলত এমদাদুল হক খানকেই ভোট দিয়েছেন। সেকারণেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া পরাজিত হয়েছেন।

মাদারীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান বলেন, এমদাদুল হক খানকে নির্বাচিত করায় সব আইনজীবীদের ধন্যবাদ। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তার বিজয়ে আমরা আনন্দিত।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য মাদারীপুর আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন জানান, সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুজন সমান ভোট পাওয়ায় তাদের ছয়মাস করে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ