নিখোঁজ শিক্ষকের মরদেহ মিলল পুকুরে
Published: 21st, January 2025 GMT
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার একটি পুকুর থেকে সাবেক এক মাদারাসা শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ওই শিক্ষকের মৃত্যুর কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
মঙ্গলবার (২১জানুয়ারি) উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দরপুর এলাকার গৌতম লৌদের বাড়ির পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয় বলে জানান চাটখিল থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী।
মারা যাওয়া আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে ছিদ্দিক উল্যাহ মাস্টার (৮০) চাটখিল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর গ্রামের মৃত মুন্সি আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় আলীয়া মাদারাসার সাবেক শিক্ষক ছিলেন।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জের ২ উপজেলায় প্রার্থী আছে, প্রাথমিকে পদ খালি নেই
জাবিতে অবসরে সরকারি আইন বলবত হবে: উপাচার্য
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছিদ্দিক মাস্টার গত ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে চাটখিল বাজারে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে চাটখিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আজ পৌরসভার সুন্দরপুর এলাকার গৌতম লদের বাড়ির পুকুরে কিছু মানুষ জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। তখন তারা ছিদ্দিক মাস্টারের মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখেন। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসি ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নিহতের বাম চোখের ওপরে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিসের আঘাত এই বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’