সাবেক ওসি শাহ আলম সম্ভবত পালিয়ে ভারত গেছেন: ডিএমপি কমিশনার
Published: 21st, January 2025 GMT
গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালিয়ে সাবেক ওসি শাহ আলম সম্ভবত ভারত বা অন্য কোনো প্রতিবেশী গেছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার এসএম সাজ্জাত আলী। আজ মঙ্গলবার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি শাহ আলম ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া একটি হত্যার মামলার আসামি। গত ৯ জানুয়ারি তাকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর উত্তরা পূর্ব থানায় নেওয়ার পর সেখান থেকে পালান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা ছাড়া একা পুলিশের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক।
মতবিনিময় সভায় ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো নিউজ প্রচারের আগে অবশ্যই তার সত্যতা যাচাই করে নেবেন। তাতে ভুল তথ্য প্রচারের সম্ভাবনা থাকে না। অবশ্যই সত্য প্রচার করবেন। সত্য প্রচারে ডিএমপির কোনো ধরণের আপত্তি নাই। মানুষের মধ্যে ‘সেন্স অব ইনসিকিউরিটি’ (নিরাপত্তাহীনতা বোধ) সৃষ্টি হয় এমন নিউজ করার আগে অবশ্যই তার সত্যতা ভালোভাবে যাচাই করবেন।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো.
মতবিনিময় সভায় ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিক একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে থাকে। ক্র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা এক সঙ্গে কাজ করে আসছি। আমাদের মধ্যকার এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আগের মতো ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশ ও সাংবাদিক পাশাপাশি থেকে কাজ করতে চাই। আমরা একে অপরের পরিপূরক। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হই তার ব্যপারে ডিএমপির সহযোগিতা কামনা করছি।
মতবিনিময় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গির মাজার বস্তি এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৬০
টঙ্গির মাজার বস্তি এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা মাদকবিক্রেতা, মাদকসেবী ও অন্যান্য অপরাধী বলে জানানো হয়েছে। এদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মাদক ও দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ।
শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যার পর গাজীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যৌথবাহিনীর সহায়তায় টঙ্গির মাজার বস্তি এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে গাজীপুর ও উত্তরা ক্যাম্পের সেনাসদস্যরা, র্যাব, জিএমপি পুলিশ অংশ নেয়। তাদের ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি রোধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই অভিযান চালানো হয়।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম বলেন, “অভিযানকালে মাদক বিক্রি, সেবন ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় নগদ অর্থ, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/রেজাউল/টিপু