এএসআইকে তালাক, ১৬ লাখে আপস সেই কলেজছাত্রীর!
Published: 21st, January 2025 GMT
টাঙ্গাইলে ১৬ লাখ টাকায় আপস-মীমাংসা করেছেন পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শককে (এএসআই) বিয়ে করা কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার।
গত ৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডবোকেট নাজিম উদ্দিন তালাকের মাধ্যমে এই আপস করিয়ে দেন। এসময় পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে একজন অ্যাডভোকেট ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের রাজা খানের মেয়ে ও করটিয়া সাদত কলেজের ছাত্রী। বিয়ে করা এএসআই জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদিঘাট এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি নাগরপুর থানা থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় যোগদান করেছেন।
কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার বলেন, “যেহেতু সে আমার সাথে সংসার করবে না। তাই আর ঝামেলা বাড়াইনি। কাবিন নামার ১৫ লাখ এবং তিনমাসের খরচ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তালাকের মাধ্যমে আপস হয়েছে। আদালতে আইনজীবির মাধ্যমেই তালাক হয়ে আপস-মীমাংসা করা হয়।”
এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে আসা এরশাদ বলেন, “মেয়েটা আগে টাকা হাতে নেওয়ার পর তারপর তালাকনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছে। টাকা ছাড়া সেসময় কিছুই বোঝেনি মেয়েটি।”
রিয়া আক্তারের চাচা বাদল মিয়া বলেন, “নাটিয়াপাড়ার পাটখড়ি এলাকার একটি ছেলের সাথে রিয়ার বিয়ে হয়েছিল। কয়েক মাস পর আর সংসার করেনি। পরে কাবিনের টাকা আদায় করার পর ওই ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই পুলিশের সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে গিয়ে হোটেলে ধরা পড়েছিল। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই পুলিশকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। তার উদ্দেশ্যই ছিল টাকা আদায়ের। তার এই আচরণের কারণে আমরা বিব্রত হই বিভিন্ন জায়গায়।”
টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডভোকেট ও রিয়ের আইনজীবী নাজিম উদ্দিন বলেন, “কত টাকায় আপস হয়েছে সেটা আমাকে বলেনি। আসামিপক্ষের আইনজীবী ও তার স্বজনরা আদালতে এসেছিলেন। পরে তালাকের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে উপ-সহকারী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/কাওছার/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমারের (৫৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ মার্চ) নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ।
কলাবাগান থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী টাইটাস হিল্লোল রেমা ২০০৯-১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। টাইটাস হিল্লোল কলাবাগানের ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাসায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তার স্ত্রী একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।
টাইটাস হিল্লোল রেমারের স্ত্রী অনুভা ম্রোং বলেন, পারিবারিক ও পেশাগত কারণে তার স্বামী বেশ কিছুদিন ধরেই বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। এক সপ্তাহ ধরে তিনি ঘুমের ওষুধ খাচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে কলাবাগান থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল ৭টার পর হিল্লোল রেমার স্ত্রী কর্মস্থলে যান। পরে বেলা ১১টার দিকে স্বামীর মুঠোফোনে কল করেন তিনি। কল রিসিভ না করলে মেয়েদের ফোন করে বাবার খোঁজ নিতে বলেন। পরে মেয়েরা বাসায় এসে বাবার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করে।
কলাবাগান থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, টাইটাস হিল্লোল রেমার পরিবার জানিয়েছে, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বিএইচ