প্রেমিকের বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকার অনশন
Published: 21st, January 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন এক কিশোরী। সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেমিক সােহেল উদ্দিনের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
প্রেমিক সোহেল উদ্দিন (২৫) উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিরবিরি গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিশোরীর এক স্বজন জানান, মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে কিশোরীকে দেখে প্রেমের প্রস্তাব দেন সোহেল। এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে উত্যক্ত করতে শুরু করেন সোহেল। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে সোহেলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন কিশোরী। কয়েক মাসের মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন সোহেল। এসময় সোহেল অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি তুলে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয় মেয়েটি। পরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে মেয়েটিকে চাপ দিতে শুরু করেন সোহেল। রাজি না হওয়ায় সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেন সোহেল।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা
কুড়িগ্রাম
হাসপাতালে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা সমাধানে দুই দিনের আল্টিমেটাম
ভুক্তভোগী কিশোরী আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, “সোহেলের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পেটের সন্তান নষ্ট করতে সোহেল আমাকে মেডিসিন দেয়। মেডিসিন না খাওয়ায় সে আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে বিয়ে করবে না বলেও জানিয়ে দেয়। এখন যদি সে আমাকে বিয়ে না করে আমি আত্মহত্যা করব।”
অভিযুক্ত সোহেল সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। বিয়ের বিষয়ে কথা চলছে।”
মো.
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। সমাধান না হলে ভুক্তভোগী ও তার পরিরবার আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।”
হাতিয়া থানার ওসি আজমল হুদা বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা,সুজন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অনশন কর ন স হ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থানের ১৮ দিন
ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও মিত্রদের নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চলমান গণঅবস্থান কর্মসূচি রবিবার ১৮তম দিন অতিবাহিত করেছে।
এদিনও ফ্যাসিবাদী দল নিষিদ্ধ ও বিচারের পাঁচ দফা দাবির পক্ষে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অব্যাহত ছিল।
রবিবার (২ মার্চ) গণঅবস্থানে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অংশ নেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের বিভিন্ন পর্যার্যের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
নাগরিক পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রদল নেতা
ঢাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পতাকা উত্তোলন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক আহ্বায়ক আনিছুর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান, সদস্য ওয়াসিম আহম্মেদ, মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ ও তামিম আনোয়ার।
এছাড়া বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, রমজান উপলক্ষে গণঅবস্থানের মঞ্চে গণইফতারের আয়োজন করা হয়। এতে গণঅবস্থানকারী ছাত্র-জনতার পাশাপাশি সাধারণ পথচারী রোজাদাররাও অংশগ্রহণ করেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের চলমান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনশনে যোগ দেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।
১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরার শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান শুরু হয়।
২৯ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।
তাদের দাবিগুলো হলো- গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের তাদের মিত্রদের নিষিদ্ধ করতে হবে; সকল ফ্যাসিবাদী দল ও সংগঠনের কার্যালয় ও সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিগ্রহণ করে তা ফ্যাসিবাদী আমলে নির্যাতিত অসহায় মজলুমদের পুনর্বাসনে ব্যবহার করতে হবে; ২০০৯-২০২৪ পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীপরিষদ সদস্যসহ সবাইকে ফ্যাসিস্ট ঘোষণা করে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তাদের অন্য দুইটি দাবি হলো- ফ্যাসিবাদ ধারণ করে গড়ে ওঠা নব্য ফ্যাসিবাদী বা একই চরিত্রের যেকোনো দল ও সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করতে হবে; ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী