সানজিদের ইচ্ছা ছিলো বড় হয়ে চিকিৎসক হবেন। তাই বলে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করবেন এমনটা ভাবেননি তিনি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবারে অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। মোট ৫ হাজার ৩৭২ পরীক্ষার্থী ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষায় সানজিদ অপূর্ব বিন সিরাজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর পেয়েছেন ৯০.
সানজিদ বলেন, ‘‘আমি আসলে রেগুলারিটি মেইনটেন করেছি যে প্রতিদিন আমাকে পড়তে হবে। এমন না আমি সারাদিন পড়তাম একটা বিষয় ফিক্সড করে সেটাকে শেষ করতাম। কোন নির্দিষ্ট টাইম শিডিউল ছিলো না। টার্গেট অনুযায়ী পড়তাম। এডমিশনের সময় আমি অনেক বেশি এফোর্ট দিয়েছি কোন ধরনের বিরতি দেইনি।’’
সানজিদের ইচ্ছে ঢাকা মেডিকেলে পড়াশোনা শেষ করে একজন নিউরোলোজিস্ট বা অনকোলোজিস্ট হবেন। সানজিদ ২০২২ সালে চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। এরপর মেডিকেলের জন্যে রেটিনায় কোচিং শুরু করেন সানজিদ। জুলাই বিপ্লবের সময় ভার্চুয়ালি সমর্থন জুগিয়েছেন। জানতে চাই জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ আমি আসলে রাজপথে থেকে নয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে যতটা পসিবল হয় ততটা করেছি।’’
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লালমনিরহাটে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ভাঙার প্রতিবাদ উদীচীর
লালমনিরহাট শহরের বিডিআর রোডে শিশুপার্ক–সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মারক মঞ্চে স্থাপিত ম্যুরালের একাংশ ভেঙে ফেলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। ম্যুরালটি ভাঙার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ সোমবার এক বিবৃতিতে উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ১৪০ ফুট দীর্ঘ ম্যুরালটিতে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার, ’৭১-এর গণহত্যা, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণসহ জাতির গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা চিত্রিত ছিল। যা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলছিল। এই ম্যুরাল দেখে সাধারণ মানুষ তথা তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারত। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের আগে দুই দফা ম্যুরালটি ঢেকে রাখা হয়। তখন জেলা প্রশাসক দাবি করেছিলেন, চব্বিশের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে এটি ঢেকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনলালমনিরহাট মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্মারক মঞ্চের ঢেকে রাখা ম্যুরালের কিছু অংশ ভাঙা হয়েছে৫ ঘণ্টা আগেউদীচীর বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানের মূল চেতনা কোনোভাবেই একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। দুটি ক্ষেত্রেই মূল লক্ষ্য ছিল বৈষম্য থেকে মুক্তি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পেলেও বৈষম্য থেকে মুক্তি না পাওয়ার কারণেই সাধারণ মানুষকে ১৯৯০ বা ২০২৪ সালের মতো বারবার রাজপথে আন্দোলন করতে হয়েছে, আত্মাহুতি দিতে হয়েছে; কিন্তু ’৭১ ও ’২৪–কে মুখোমুখি বা সাংঘর্ষিক অবস্থানে নেওয়ার কথা বলে একটি অপশক্তি সচেতনভাবে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টা প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে দেরি না করে ম্যুরালটি সংস্কার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন উদীচীর নেতারা।
আরও পড়ুন‘জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতীয়মান না হওয়া’য় ঢেকে রাখা হলো মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল২৭ মার্চ ২০২৫