‌‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’, এই প্রতিপাদ্যে লক্ষ্মীপুরে শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেয়ালিকা উৎসব পালিত হয়েছে।

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের স্মৃতি তুলে ধরতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসন উৎসবের আয়োজন করে। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলা হলরুমে আয়োজিত দেয়ালিকা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার।

আরো পড়ুন:

ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

নদীতে মিলল নিখোঁজ মাদরাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) সম্রাট খীসা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

জামশেদ আলম রানা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে এম জামান। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবরাও এতে অংশ নেন। 

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধ ও ছাত্র-জনতার প্রতিচ্ছবিসহ আন্দোলন সংগ্রামে নানা চিত্র তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। হল রুমের চার দেয়ালে আওয়ামী লীগের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে দেয়ালিকা দিয়ে সাজানো হয়। পরে জেলা প্রশাসকসহ অন্যরা ঘুরেঘুরে দেয়ালিকা পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, “জেলায় ৭৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আজকে শুধুমাত্র সদর উপজেলার শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল। উৎসবে শিক্ষার্থীদের অসাধারণ মেধা ও প্রতিভার চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক উপজেলায় এই উৎসব পালন করা হবে।” 

তিনি আরো বলেন, “কিভাবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব হয়েছে, সে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এটি একটি ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ।” 

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উৎসব উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।

‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।

নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।

১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্কার: সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • টিএসসিতে সংগীত উৎসব
  • রমজানে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল
  • মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’