পোষ্য কোটা নিয়ে যা জানাল চবি প্রশাসন
Published: 21st, January 2025 GMT
পোষ্য কোটা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে পোষ্য কোটায় একটি করে আসন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একই সঙ্গে আগামী বছর পোষ্য কোটা বাতিল ও ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানোর বিষয়ে পর্যালোচনা করতে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫৪টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর এসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে একজন করে মোট ৫৪ জন শিক্ষার্থী পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটার আসন ছিল ১৬৬টি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান রাইজিংবিডিকে বলেন, “শুধু এই বছরের জন্য প্রতি বিভাগে একটি করে পোষ্য কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৫৪টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে একজন করে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।”
তিনি বলেন, “পোষ্য কোটা বাতিল ও ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো বিষয়ে পর্যালোচনা করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি। সেই কমিটি আগামী বছরের ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে কাজ করবে।”
সাত সদস্যের কমিটিতে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানকে সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসএম নছরুল কদির, প্রীতিলতা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাসমত আলী, অধ্যাপক ড. এন এম সাজ্জাদুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।
পোষ্য কোটা বাতিল ও ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানোসহ সাত দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে শক্ত অবস্থানে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
অস্কার মঞ্চে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরলেন অশ্রুসিক্ত জো
জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। এবারের আসরে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগের পুরস্কার জিতেছেন আমেরিকান তারকা জো সালদানা। ‘এমিলিয়া পেরেজ’ চলচ্চিত্রে একজন আইনজীবীর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে এই স্বীকৃতি উঠেছে তাঁর হাতে।
স্প্যানিশ-ভাষার সংগীতনির্ভর ছবিটি পরিচালনা করেছেন ফ্রান্সের জ্যাক অঁদিয়ার। অস্কারের মতো এমন অর্জন হাতে নেওয়ার পর অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী।
মঞ্চে উঠে আবেগাপ্লুত জোয়ি তাঁর মাকে স্মরণ করেন এবং ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর সব শিল্পী ও কলাকুশলীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি শিল্প জগতে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমার দাদি ১৯৬১ সালে এই দেশে এসেছিলেন। আমি গর্বিত একজন অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান, যারা স্বপ্ন, সম্মানবোধ ও কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছেন। আমি ডোমিনিকান বংশোদ্ভূত প্রথম আমেরিকান, যে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছে। আমি জানি, আমি শেষ ব্যক্তি নই। আমি আশা করি, এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই চরিত্রে আমি গান গাওয়ার ও স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। যদি আমার দাদি আজ বেঁচে থাকতেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হতেন।’
তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে দিলেন যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কঠোর আগ্রাসন চালাচ্ছে।
চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ একাডেমি পুরস্কার তথা অস্কারের আয়োজন চলছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউডের ডলবি থিয়েটারে। অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়। আয়োজনের প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছেন আমেরিকান অভিনেতা কিয়েরান কালকিন। ‘আ রিয়েল পেইন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।
অন্যদিকে, এবার সেরা অ্যানিমেশন ছবি (স্বল্পদৈর্ঘ্য) হিসেবে ‘ইন দ্য শ্যাডো অব সাইপ্রেস’, ফিচার অ্যানিমেশন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ‘ফ্লো’। সেরা মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইল বিভাগে পুরস্কার জিতেছে গেল বছরের অন্যতম আলোচিত ছবি ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’।
সেরা অ্যাডাপ্ট চিত্রনাট্যর পুরস্কার পেয়েছে আলোচিত ছবি ‘কনক্লেভ’। এছাড়া পল ট্যাজওয়েল ‘উইকেড’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পোশাক পরিকল্পনাকারী এবং শন বেকার ‘আনোরা’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছেন।