সাবেক আইজিপি বেনজীরের সাভানা রিসোর্টে হঠাৎ অভিযান
Published: 21st, January 2025 GMT
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্কে অভিযান শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পার্কে প্রবেশ করে। তারা পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
অভিযানে প্রতিনিধি দলটি পার্কের বিভিন্ন অফিস পক্ষের কম্পিউটার ও ফাইলপত্র যাচাই-বাছাই করছে। পার্কের কর ফাঁকির বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে আর কী কী বিষয়ে তদন্ত করা হবে তা এখন পর্যন্ত গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হয়নি। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে প্রতিনিধি দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বেনজীর পুলিশের প্রধান ও র্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্ক গড়ে তোলেন। জমি দখল করে এই পার্কটি করা হয়েছে বলে গত বছর অভিযোগ ওঠে। গত বছরের জুনে এ পার্কটি আদালতের নির্দেশে ক্রোক করা হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসন এটির দায়িত্বভার গ্রহণ করে। পার্কটির রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। তারা পার্কটি পরিচালনা করছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’