কলাপাড়ার ধানখালীতে নির্মিত পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্ক্র্যাপ চুরি ও পাচারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ধানখালী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি শামীম তালুকদারকে (৩৭) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার বিকেলে শামীমকে ধানখালী থেকে গ্রেপ্তার করে কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে শামীমকে কলাপাড়া আদালতে পাঠালে আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্ক্র্যাপ চুরির ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডেপুটি ম্যানেজার (অ্যাডমিন) আমিনুল ইসলাম কলাপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার প্রধান আসামি ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সোহেল মোল্লা।

এ মামলায় ৩৪ আসামির বেশিরভাগই স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। মামলায় বলা হয়েছে, এ চক্রটি পাওয়ার প্লান্টের অভ্যন্তরে ঢুকে তামার তার, স্টিলের পাতসহ লোহার বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে পাচার করে আসছিল। দুই টন মালামালসহ একটি ট্রাক আটক করা হয় সেসময়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল প ড়

এছাড়াও পড়ুন:

কালাবদরে কোস্টগার্ডের অভিযান: জেলে নিহত, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালাবদর নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধনের সময়ে কোস্টগার্ডের অভিযানে এক জেলে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে নিহত ওই জেলের মৃত্যু নিয়ে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।

নিহত জেলের নাম মিরাজ ফকির (৩০)। তিনি মেহেন্দিগঞ্জের মিয়ারচর গ্রামের ফখরুল ইসলাম ফকিরের ছেলে।

নিহতের পরিবারের দাবি, ইলিশ নিধনের সময় অভিযানে যাওয়া কোস্টগার্ডের স্পিডবোট জেলে নৌকার ওপর উঠিয়ে দিলে মিরাজ নিহত হন। 

হিজলা নৌ পুলিশ বলছে, কোস্টগার্ড অভিযানে গেলে জেলেরা হামলা করায় দুইপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছিল। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কোস্টগার্ড দাবি করেছে, তারা সেখানে অভিযানেই যায়নি।

নিহতের ভাই রবিউল ফকির জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালাবদর নদীর শ্রীপুর এলাকায় তার ভাই মিরাজ ফকির অন্য জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছিলেন। এসময় কোস্টগার্ডের একটি স্পিডবোট জেলেদের নৌকার ওপর দিয়ে উঠিয়ে দেওয়ায় মিরাজ গুরুতর আহত হয়। অন্য জেলেরা গুরুতর অবস্থায় মিরাজকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হিজলা নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোস্টগার্ডের সদস্যরা কালাবদর নদীর শ্রীপুর এলাকায় অভিযানে গেলে জেলেরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় জেলেদের সঙ্গে কোস্টগার্ডের সংঘর্ষ হয়। এতে জেলে মিরাজ আহত হন। পরে তাকে অন্য জেলেরা উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তমানে মিরাজের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

তবে কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার তাদের কোনও অভিযান ছিল না। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, জাটকা বড় হওয়ার সুযোগ দিতে ইলিশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশ আহরণে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে গত ১ মার্চ থেকে। কালাবদর নদীও ওই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সব নদীতে ছেলেদের ইলিশ নিধনের অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ