দলীয় সভা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় যুবদলকর্মী নিহত
Published: 21st, January 2025 GMT
দলীয় সভা শেষে ফেরার পথে রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শাহজাহান আলী (৪৫) নামে যুবদলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় শফিকুল ইসলাম (৪৬) নামে আরেক যুবদলকর্মী আহত হয়েছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে জেলার পবা উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শাহজাহান আলী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার হাড়িয়াপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। এছাড়া আহত শফিকুল ইসলামের বাড়ি আমগাছি গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাজশাহী মহানগরে যুবদলের এক সভায় যোগ দিতে আসেন তারা। সভা শেষে ফেরার পথে রামচন্দ্রপুর বাজারে একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে শাহজাহান ও শফিকুল গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর রাতে শাহজাহান আলী মারা যান। শফিকুল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্গাপুরের ঝালুকা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, “যুবদলকর্মী শাহজাহানের লাশ বাড়ি নিয়ে গিয়ে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার কারনে তারা শোকাহত।”
ঢাকা/কেয়া/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’