ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়িকা শাবনূর। দীর্ঘদিন ধরে সিনেমা থেকে দূরে রয়েছেন। লম্বা বিরতির পর ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে ফিরছেন। সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ অর্ধেকের বেশি শেষ হয়েছে। ‘রঙ্গনা’ দিয়ে সিনেমা নির্মাণে অভিষেক হচ্ছে আরাফাত হোসাইনের।
রোমান্টিক-থ্রিলার ঘরানার চিত্রনাট্যের পরতে পরতে ‘সাসপেন্স’ খেলা করে বলে মত পরিচালকের। সিনেমাটিতে শাবনূরের চরিত্র খোলাসা করেননি তিনি। প্রকাশিত পোস্টার বলছে, শাবনূর ‘রঙ্গনা’ সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রে আসছেন। দুটির মধ্যে একটি চরিত্রের দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে ‘রঙ্গনা’ সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হয়। পুরান ঢাকা, পুবাইল, টঙ্গী, উত্তরা ও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুটিং হয়েছে। মে মাসে সিনেমার শুটিং শেষ করে আবার সিডনিতে উড়ে যান শাবনূর। এরপর কেটে গেল নয় মাসেরও বেশি সময়।
আরো পড়ুন:
চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ তারকারা
শিল্পী সমিতির কমিটিতে মুক্তি
ওই সময় শাবনূর জানিয়েছিলেন, আরো প্রস্তুত হয়েই শুটিংয়ে ফিরবেন তিনি। ‘রঙ্গনা’ সিনেমার বাকি অংশের শুটিং হওয়ার কথা ছিল গত ৮ আগস্ট থেকে। দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ওই সময় দেশেই ফিরতে পারেননি অভিনেত্রী।
এরপর ‘রঙ্গনা’র দ্বিতীয় ধাপের শুটিং শুরু করার কথা বলেছিলেন নির্মাতা আরাফাত। তার ভাষায়, “দ্বিতীয় অংশের জন্য কিছুটা প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। এ কারণেই দীর্ঘ একটা বিরতি। আমাদের সব প্রস্তুতি এখন সম্পন্ন। আশা করছি, ডিসেম্বরে আবার ক্যামেরা চালু করতে পারব।”
শাবনূর ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন– কাজী হায়াৎ, ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, মিলি বাশার প্রমুখ।
শুটিং শুরুর আগে শোনা গিয়েছিল, ‘রঙ্গনা’ সিনেমা ঈদে মুক্তি দিতে চান পরিচালক। কিন্তু শুটিং শেষ না হওয়ার কারণে আপাতত তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর হাত কেটে ‘প্রতিশোধ’ স্বামীর
পরকীয়ার সন্দেহে গত বছরের ১৬ এপ্রিল স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে স্ত্রীর ডান হাত কেটে প্রতিশোধ নিয়েছেন স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
স্বামী ফিরোজ মিয়া রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে এবং তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম একই ইউনিয়নের পাশের জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
গত বছর ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়া সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন। পরে ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। এদিকে স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে ফিরোজ মিয়া প্রতিশোধ নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আশুলিয়া গাজীরচর এলাকার বাসা ভাড়া নিয়ে আবারও সংসার শুরু করেন তারা। এরপর সুযোগ বুঝে সোমবার রাতে জাকিয়ার ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করেন ফিরোজ মিয়া। এসময় স্ত্রী জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন এবং জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশ এসে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জাকিয়ার বাবা বাদী হয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।