পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাবেক সেনা সদস্যের ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী শাহনাজ পারভিন লাকীকে হত্যার পর মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার মধ্যরাতের পর উপজেলার নীলগঞ্জের সলিমপুর গ্রামের মিয়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার সকালে এ ডাকাতি ও হত্যার ঘটনা জানতে পারে এলাকার লোকজন, নিহতের স্বজন ও কলাপাড়া থানা পুলিশ।

তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও এ হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত কিংবা লুট হওয়া মালামালের সঠিক তথ্য জানতে পারেনি।

নিহতের স্বামী আবুল কালাম আজাদ চাকরির কারণে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

নিহতের বোনের স্বামী মো.

শাহ আলম মিয়া জানান, নিহত গৃহবধূ লাকী ঘরে একা ছিলেন। সকালে বাসার সামনে এসে ডাকাডাকির পর তার সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকেন তিনি। এসময় তাকে খাটের উপর হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মৃত দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন এবং থানায় খবর দেওয়া হয়।

এ সময় ঘরের আলমারি, ড্রয়ার ভাঙা এবং মালামাল ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, এটি ডাকাতির ঘটনা। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল ইসলাম জানান, নিহত গৃহবধূ সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী। ঘরের খাটের উপর তার হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে মৃত পাওয়া গেছে। কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্তে সিআইডি ও পিবিআইর ফরেনসিক টিম বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করার পর মরদেহ ময়নাতদন্তে জন্য মর্গে পাঠানো হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ