দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। গাজা যুদ্ধবিরতি টিকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমি নিশ্চিত নই যে এই যুদ্ধবিরতি কত দিন টিকবে। এটি আমাদের যুদ্ধ নয়, এটি তাদের যুদ্ধ। তাই এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী নই।"

তিনি আরও বলেন, হামাস দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং গাজা এখন একটি "বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপের মতো"।

একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, গাজা একটি সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চল। এই অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে  গাজায় অসাধারণ কিছু করা সম্ভব।

তিনি আরও মন্তব্য করেন, "এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা। আপনি জানেন, সবকিছুই ভালো হতে পারে।"

ট্রাম্পের এই মন্তব্য বিশ্ব রাজনীতিতে আবারও আলোড়ন তুলেছে এবং গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ