ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কুমার নদ ঘেঁষে বাস করা শীতার্ত সেই বেদেগোষ্ঠীর কাছে সন্ধ্যার আগে আগেই শীতের কম্বল নিয়ে ছুটলেন ভাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান। বিকেল তখন ৫টা, সেখানে থাকা বেদেদের কেউই তখনও জানেন না তাদের জন্য শীতের কম্বল নিয়ে পথে আছেন কেউ। সেখানে পৌঁছেই ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কুমার নদ ব্রিজের নিচে বসবাসরত বেদেদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।

ইউএনও মিজানুর জানান, গত রোববার সমকালে প্রকাশিত বেদে গোষ্ঠীদের নিয়ে প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্টদের নজর কাড়ে। এরপর বেদেদের সঙ্গে কথা বলার পর জানা যায়, খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। তাদের মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই নেই। আমরা চেষ্টা করবো তাদের জন্য একটি আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। এই শীতে তাদের যে কষ্ট নিবারণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কম্বল দেওয়া হয়েছে। তাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা উপকরণসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

শীতের কম্বল পেয়ে বেদেনি আখিনুর, মিম ও শাহীনুর বেগম জানান, ইউএনওর কম্বল পেয়ে এই শীতের কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। এতে অনেক খুশি তারা।

বেদে সর্দারনি শাহীনুর জানান, তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন ইউএনও। এতে তাদের সন্তানরা সামাজিক শিক্ষায় আলোকিত হবে। প্রায় ১৪টি পরিবারের সদস্যদের জন্য স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউএনও। এতে উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বেদেরা। 

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি সমকালে বাতাসে কেঁপে কেঁপে উঠি মোরা এই শিরোনামে ও সমকাল ডিজিটাল ইউটিউবে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি পাইকারি আড়তের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে ১১টি যানবাহন অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় সংঘর্ষ হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মো. মেহেদী ইসলাম বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি

৫ আগস্টের শক্তির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কথা স্বীকার আদিলুরের 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, সাওঘাট এলাকায় বিসমিল্লাহ আড়তের দখল নিয়ে সেলিম প্রধান ও মজিবুরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কয়েকদিন আগে দুই পক্ষের লোকজনকে ডেকে আড়ত থেকে টাকা তুলতে নিষেধ করেন।

আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মজিবুরের লোকজন সেলিম প্রধানের অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় সেলিমের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইট, ককটেল ও গুলিবর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে স্বপন, রাজু, আলামিন, বাবু, রফিক ও সাগর নামে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় সেলিম প্রধানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরসহ ১০টি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার আগুনে পুড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ১১টি গুলির খোসা ও একটি তাজা ককটেলসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জয়পুরহাটে নারী ফুটবল ম্যাচ ঘিরে বাধা-ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
  • জয়পুরহাটে নারী ফুটবল ম্যাচ বাতিল ও ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
  • তিন ফসলি জমিতে খাল খনন, চাষিদের প্রতিবাদ
  • রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬