কাশিয়ানীতে রাতের আঁধারে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ
Published: 21st, January 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দুটি মন্দিরে রাতের অন্ধকারে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের তারাইল উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে মন্দিরের প্রতিমা ও পূজার সরঞ্জামাদি পুড়ে গেছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছ তা জানা যায়নি।
খবর পেয়ে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা জান্নাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল) মো.
ওই মন্দিরের পূজারি প্রমথ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা মন্দিরে পূজা দেই। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে বাঁশের তৈরি দরজা খোলা দেখতে পাই। দুর্গা মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখি পূজার সরঞ্জাম আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া পাশের শীতলা মন্দিরেও শীতলা দেবীর প্রতিমার গায়ে পাটখড়ি দিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরে আমি বিষয়টি সবাইকে জানাই।’
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ মন দ র মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’