নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল হামিদ খান (৪০) নামের একজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচরের গেটবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুল হামিদ খান সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়নের ছগরিয়াপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদ খানের ছেলে। তিনি নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি করাতেন।

নিহতের স্বজন ও রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে স্থানীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে নাশতা শেষে বাদুয়ারচর এলাকার একটি বাসায় টিউশনি করাতে যাচ্ছিলেন হামিদ খান। ৮টার দিকে হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচর গ্রামের গেটবাজার এলাকায় অসতর্কভাবে রেললাইনে হাঁটার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রেনেই তার মাথা কাটা পড়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।

নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো.

জহিরুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল হামিদ খান নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। তার পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তরের কাজ চলছে।

ঢাকা/হৃদয়/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ