নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষক নিহত
Published: 21st, January 2025 GMT
নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল হামিদ খান (৪০) নামের একজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচরের গেটবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল হামিদ খান সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়নের ছগরিয়াপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদ খানের ছেলে। তিনি নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি করাতেন।
নিহতের স্বজন ও রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে স্থানীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে নাশতা শেষে বাদুয়ারচর এলাকার একটি বাসায় টিউশনি করাতে যাচ্ছিলেন হামিদ খান। ৮টার দিকে হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচর গ্রামের গেটবাজার এলাকায় অসতর্কভাবে রেললাইনে হাঁটার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রেনেই তার মাথা কাটা পড়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।
নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো.
ঢাকা/হৃদয়/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু করে। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করছেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে হাইকোর্টের প্রকাশিত কার্যতালিকায় দেখা যায়, বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলগুলো আজ বুধবার শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত রয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) থেকে পড়ে শোনানোর মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা দিপ্তি পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করছেন।
মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব; কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।
কোনো মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।
এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা এসব আপিল ও আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।
সিনহা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে, যা একই বছর ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স মামলা শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করতে হয়। পেপারবুক প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চ নির্ধারণ করেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা।