রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া বিমানে প্রতীকী অগ্নিনির্বাপণ মহড়া
Published: 21st, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমাবনবন্দর। অবতরণ করতে গিয়ে নেপচুন এয়ার লাইন্সের একটি বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। আগুন ধরে যায় বিমানে। সাথে সাথে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ ও বিভিন্ন সংস্থার উদ্ধারকারী ইউনিট।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের রানওয়েতে এই দৃশ্য দেখা গেছে । তবে এই দৃশ্য বাস্তবে ঘটলেও এটি ছিলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়মিত মহড়ার একটি অংশ।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর জানান, বিমানবন্দরে রানওয়েতে কোনো বিমান দুর্ঘটনা কবলিত হলে কিভাবে উদ্ধার করা হবে, কিভাবে আগুন নির্বাপণ করা হবে তা বাস্তব চিত্রের আদলে মহড়ার আয়োজন করা হয়। প্রতি দুই বছর পর পর এই ধরনের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এবার ৬ষ্ঠবারের মতো মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মহড়ায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী, হাসপাতাল এবং বিভিন্ন বিমানসংস্থা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে।
এই ধরনের মহড়ার মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দেওয়া যায় এবং মহড়ার কারণে সংস্থাগুলোর মধ্যে দক্ষতা ও সমন্বয় বাড়ে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/রেজাউল/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এবার ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে ইফতার করালো রাবি প্রশাসন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যায়নরত ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতারের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (৩ মার্চ) দ্বিতীয় রোজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আসরের নামাজের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা দলে দলে কেন্দ্রীয় মসজিদে আসতে শুরু করেন। এ সময় মসজিদের ভেতরে এবং মসজিদ সংলগ্ন বাগানে তারা ইফতারির জন্য সারিবদ্ধভাবে বসেন। এ ছাড়াও নারীদের জন্য মসজিদের বাগানে আলাদাভাবে ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়। এতে মসজিদ প্রাঙ্গণে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
আরো পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণইফতার আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ
রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, ভোটগ্রহণ জুনে
ইফতারে অংশগ্রহণ করতে আসা ইনফরমেশন সাইন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “আজকের আয়োজন অনেক ভালো ছিল। এখানে সবার সঙ্গে ইফতার করতে এসে খুবই ভালো লাগছে। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটা দিন মনে হচ্ছে ঈদের মতো। প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী নয়ন আহমেদ বলেন, “গতকালের তুলনায় আজকের আয়োজন অনেক ভালো। কাল সব এলোমেলো ছিল। কিন্তু আজকের আয়োজন গোছালো হয়েছে। এত মানুষের সঙ্গে আগে কখনো ইফতার করিনি। অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে। মনে হচ্ছে এখানে মেলা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য।”
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইফতারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন খান (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা), রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার প্রমখ।
সার্বিক বিষয়ে জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “আমরা আজ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতার আয়োজন করেছি। যা গতকালের তুলনায় তিনগুণ। আমরা আশা করছি আজ সব ঠিকঠাক মতো হবে। এজন্য সবার সাহায্য প্রয়োজন, যাতে কোন উশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।”
প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। রোজার প্রথমদিন রবিবার (২ মার্চ) ৪ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আয়োজনের তুলনায় অধিক রোজাদার উপস্থিত হওয়ায় ইফতারে সঙ্কট দেখা দিলে শিক্ষার্থীদের ভাগাভাগি করে নিতে দেখা গেছে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী