কবে বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী তমালিকা, জানালেন নিজেই
Published: 21st, January 2025 GMT
এক সময়ের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তিনি। গতকাল প্রথম তার বিয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। বিয়ে নিয়ে দেশের গণমাধ্যমের খবর চোখ এড়ায়নি অভিনেত্রীর। তাই নিজেই জানিয়ে দিলেন, তিন বছর আগে প্রভীনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে অবদ্ধ হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, তমালিকার খুব কাছের মানুষেরা বিয়ের খবরটি জানতেন। তবে দুজনের কেউই বিয়ের খবরটি কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে চাননি। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর তমালিকার সঙ্গে প্রভীনের পরিচয়। এরপর তারা দুজন প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার খবর দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেখেন, ‘৩ বছর আগে যখন বিয়ে করি তখনই খবরটি জানিয়েছিলাম। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতি বিবাহবার্ষিকীতে আমি আমার স্বামীকে শুভেচ্ছা জানাই। এটা প্রথম নয়, এর আগে হয়তো কেউ খেয়াল করেনি। তবে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’
সোমবার তমালিকা কর্মকার তার স্বামী প্রভীনের সঙ্গে একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শুভ বিবাহবার্ষিকী প্রভীন’। তমালিকার পোস্ট করা সেই স্থিরচিত্রে বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই শুভকামনা জানিয়েছেন।
এই তালিকায় আছেন মাসুম রেজা, আঁখি আলমগীর, গোলাম ফরিদা ছন্দা, নাজনীন চুমকি, শারমীন জোহা শশী, শ্যামল মাওলা, হৃদি হক প্রমুখ। তমালিকাও অনেকের শুভকামনার উত্তর দিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব য় র খবর
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।