এক সময়ের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তিনি। গতকাল প্রথম তার বিয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। বিয়ে নিয়ে দেশের গণমাধ্যমের খবর চোখ এড়ায়নি অভিনেত্রীর। তাই নিজেই জানিয়ে দিলেন, তিন বছর আগে প্রভীনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে অবদ্ধ হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, তমালিকার খুব কাছের মানুষেরা বিয়ের খবরটি জানতেন। তবে দুজনের কেউই বিয়ের খবরটি কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে চাননি। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর তমালিকার সঙ্গে প্রভীনের পরিচয়। এরপর তারা দুজন প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার খবর দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেখেন, ‘৩ বছর আগে যখন বিয়ে করি তখনই খবরটি জানিয়েছিলাম। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতি বিবাহবার্ষিকীতে আমি আমার স্বামীকে শুভেচ্ছা জানাই। এটা প্রথম নয়, এর আগে হয়তো কেউ খেয়াল করেনি। তবে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’

সোমবার তমালিকা কর্মকার তার স্বামী প্রভীনের সঙ্গে একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শুভ বিবাহবার্ষিকী প্রভীন’। তমালিকার পোস্ট করা সেই স্থিরচিত্রে বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই শুভকামনা জানিয়েছেন।

এই তালিকায় আছেন মাসুম রেজা, আঁখি আলমগীর, গোলাম ফরিদা ছন্দা, নাজনীন চুমকি, শারমীন জোহা শশী, শ্যামল মাওলা, হৃদি হক প্রমুখ। তমালিকাও অনেকের শুভকামনার উত্তর দিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব য় র খবর

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ