কলেজছাত্রী ও সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক পাচারের সময় আটক দুই নারী
Published: 21st, January 2025 GMT
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কলেজছাত্রী ও সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক বহনের সময় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ৮দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করা হয় তাদের।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকছেদুর রহমান জানান, গাড়িটি তল্লাশির সময়ে আটক দুই নারী তাদেরকে সাংবাদিক ও কলেজছাত্রী পরিচয় দিয়ে তাদের আইডিকার্ড প্রদর্শন করে পুলিশের কাছে। কিন্তু তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় গাড়ির মধ্যে তল্লাশি চালানোর পর গাজার কয়েকটি বান্ডেল পাওয়া যায়।
আটকরা হলেন, বরিশাল বেতাগী থানার বেতাগী গ্রামের আসিফ মল্লিকের স্ত্রী সামিয়া বেগম ও বাগেরহাটের কচুয়া থানার মো: সোহাগের স্ত্রী মারিয়া বেগম।
ওসি জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন ভাঙ্গা পৌর সভার সামনে পুলিশের একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। এসময় ঢাকা থেকে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এরিয়া অতিক্রম করার পর একটি নোয়া গাড়িকে থামানোর সংকেত দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা চালায়। পুলিশ গাড়ির পিছু নিয়ে ধাওয়া করার এক পর্যায়ে মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে গাড়ির গতিরোধ করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই গাড়ির চালক পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, গাড়িটি তল্লাশি করার পর ১৫ কেজি গাজা, ৩টি মোবাইল পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর কোর্টে তাদের প্রেরণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় সড়কে গাছ ফেলে ৪০ গাড়িতে ডাকাতি
পাবনার সাঁথিয়ায় মধ্যরাতে সড়কে গাছ ফেলে বাস-ট্রাকসহ অন্তত ৪০টি গাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে পাবনা-সাঁথিয়া সড়কের ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে ঘটে এ ঘটনা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান।
এ বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাতরা। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি আটকে পড়ে। এসময় ৪০ থেকে ৫০ জন হাসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে ডাকাতি চালায়। গাড়ির গেট খুলতে দেরি করায় কিছু গাড়ি ভাঙচুরও করে। এসময় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ তাণ্ডব।
ডাকাতির কবলে পড়া আব্দুস সালাম নামে এক ইসলামী বক্তা ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যে বলেন, কিছুক্ষণ আগে এই সড়কে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করেছে। হুট করে আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। বারবার গাড়িতে আঘাতের পর আমরা ড্রাইভারকে গেট খুলে দিতে বললে ডাকাতরা ঢুকে ড্রাইভারের গলা ও পেটে চাকু ধরে। একইভাবে অন্যদেরও জিম্মি করে সব লুটে নিয়ে যায়। আমরা বলেছি, ভাই যা আছে সব নেন, কিন্তু কাউকে আঘাত কইরেন না। আমাদের গাড়িতে কাউকে আঘাত করেনি। অনুরোধ করায় আমার দুটি মোবাইল ফেরত দিয়ে যায়।
তিনি বলেন, একটি মাইক্রোতে করে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী। ওই গাড়িতে আক্রমণ করে কয়েকজনকে মারধর করে সব লুটে নিয়ে গেছে। একইভাবে সব গাড়িতে পর্যায়ক্রমে ডাকাতি চালায়। গাড়ি ভাঙচুর ও অনেককেই মারধর করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো বিস্তারিত জানি না। তবে ওই রাস্তাটি খুব বেশি ব্যস্ত না হলেও বেড়া-বাঘাবাড়ি হয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেশকিছু গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যায়। এটি ডাকাতরা জেনেই গাছ ফেলে ডাকাতি করেছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলতে না পারলেও কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনজে