যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর অভিষেক–সংশ্লিষ্ট একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াল্ডার ই ওয়াশিংটন কনভেনশন সেন্টারে ‘কমান্ডার-ইন-চিফ বল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সামরিক তলোয়ার দিয়ে কেক কেটে নেচে-গেয়ে উদযাপন করেন ট্রাম্প।

অনুষ্ঠানে একটি বড় সামরিক তলোয়ার দিয়ে কেক কাটেন ট্রাম্প। সেই সাথে অনুষ্ঠানে আবহসঙ্গীত শুরু হলে ট্রাম্প তার হাতে থাকা তলোয়ার নিয়ে তালে তালে নাচতে শুরু করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। সেই সাথে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার স্ত্রী উষা চুলুকুরি ভ্যান্স। ভাইস প্রেসিডেন্টও তরবারি দিয়ে কেক কাটেন।

ট্রাম্প যে কেকটি কাটেন, সেটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজের নতুন নকশা ছিল।

কেক কাটার পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের উদ্দেশে রসিকতা করে ট্রাম্প বলেন, কেউ কেক নিতে চান কি না।

ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তরবারি দিয়ে কেক কাটার সময় রসিকতা করেন। তিনি বলেন, এই দৃশ্য দেখে নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস খুবই ঘাবড়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ও মেলানিয়া নাচ করেন। ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার সঙ্গে নাচলেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিক্ষোভ সমাবেশের আগেই সিলেট ডিসি অফিসের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অপসারণ

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণ করা হয়েছে। তবে কে সেটি সরিয়েছে তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

হযরত শাহজালাল (রহ.) তাওহিদি কাফেলার ব্যানারে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সমাবেশের আগে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ম্যুরাল ভাঙতে গিয়ে দেখেন যথাস্থানে সেটি নেই।

গত কয়েকদিন ধরে সিলেটের আলেম সমাজের একটি অংশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল অপসারণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আসছিলেন। ২৬ জানুয়ারি আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকও হয়। বৈঠকে সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল উলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক, সামাজিক, ছাত্র ও ইমাম সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ম্যুরাল অপসারণে তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে সেটি না সরালে তারা এটি সরিয়ে নেবেন বলে হুমকি দেন।

ম্যুরাল অপসারণ করেছেন কিনা, এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তাদের পক্ষ থেকে কোনোভাবে সেটি সরানো হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ