অন্য কারো জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দেব- এটা হাস্যকর: নোরা ফাতেহি
Published: 21st, January 2025 GMT
তার শারিরীক কসরত যেনো উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ। প্রতিটি নাচের স্টেপ যেনো আইকনিক স্টাইল। তিনি নুরা ফাতেহি। বলিউডের ‘আইটেম গার্ল’ কেবল নাচের ছন্দেই অনুরাগীদের আপ্লুত করেন না, নোরার স্টাইলটাও মুগ্ধ করে অনুরাগীদের।
ক’দিন আগে খবর আসে এখন বলিউডের গণ্ডি ছেড়ে হলিউডে যাচ্ছেন নোরা। গুঞ্জনটা উঠে অবশ্য হলিউডে এক মিউজিক অ্যালবামের কাজ করার সুবাধে। সে বিষয়টি নিয়েই মুখ খুললেন নোরা ফাতেহি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নোরা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কোনো জীবন নেই। আপনি যদি মনে করেন আমি অন্য কারো জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দেব তাহলে আপনি ভুল, এটা ভাবা হাস্যকর। আমি এখানেও থাকব, ওখানেও থাকব, সর্বত্র থাকব আমি। যেমন সিনেমায় অভিনয় করেছি ঠিক তেমনি সংগীত জগতেও কাজ করব।’
নোরা আরও বলেন, ‘আমার মোট তিনটি জগৎ রয়েছে। আমি যেহেতু কানাডায় জন্ম নিয়েছি, তাই সেটি আমার প্রথম জগৎ। মরক্কোয় আমি বহুদিন ছিলাম তাই সেখানে আমার অস্তিত্ব লুকিয়ে রয়েছে। সবশেষে ভারত এমন একটি দেশ যেখানে আমি আমার পরিচয় গঠন করতে পেরেছি, তাই এই দেশের সঙ্গেও আমার ভালোবাসা অপরিসীম।’
আমেরিকান গায়ক জেসন ডেরুলোর সঙ্গে ‘স্নেক’ নামের একটি মিউজিক অ্যালবামে অভিনয় করেছেন নোরা ফাতেহি। ডেরুলোর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম প্রথম ভীষণ লজ্জা পেতাম। আমি নিজেই প্রথমে গানটি রেকর্ড করেছিলাম। প্রথমে তার সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি আমার। তবে যখন একসঙ্গে ভিডিওতে কাজ করেছি, তখন অনেক গল্প হয়েছে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছাত্রলীগের মিছিলের পর দুই আ.লীগ নেতার বাসায় হামলা
সিলেটে সকালে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিল করার পর বিকাল ও সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুই নেতার এবং ছাত্রলীগের এক নেতারা বাসায় হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেটে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় বিকালে হামলা হয়েছে। প্রায় একই সময়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদের বাসায়ও হামলা চালানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে বিনোদনকেন্দ্রে হামলা, পুলিশসহ আহত ৭
রাঙ্গুনিয়ায় আহত আ.লীগ নেতার মৃত্যু
হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাসার জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে।
সিলেট নগরীর শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরীর (নাদেল) বাসভবনের ‘ফ্ল্যাট অ্যাপার্টমেন্টের কার্যালয়ে’ হামলা চালায় একদল মানুষ। তারা মিছিল নিয়ে তার বাসায় ঢুকে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরের পাঠানটুলা এলাকায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেলে করে শতাধিক তরুণ-যুবক গিয়ে এ হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা বাসায় ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট চালান। বাসাটিতে আনোয়ারুজ্জামানের পরিবারের কেউ থাকেন না। দুজন তত্ত্বাবধায়ক বাসার দেখাশোনা করেন।
মেজরটিলা এলাকায় অবস্থিত ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদের বাসায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তদের একটি দল। সন্ধ্যা সাতটায় রুহেলের বাসায় হামলার সময় তাঁর মা ও বোন বাসায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অবশ্য এসব হামলায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকাল থেকে সিলেট নগরীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মাঠে নামে। তারা ভিডিওতে দেখা যাওয়া চার-পাঁচজন মিছিলকারীকে ধরে পুলিশে হাতে তুলে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রলীগের ব্যানারে ৩০ থেকে ৪০ জন তরুণ নগরের ধোপাদিঘিরপাড় এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। এতে ছাত্রদলের কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালান।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নাদেলের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, মিছিলকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।