তার শারিরীক কসরত যেনো উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ।  প্রতিটি নাচের স্টেপ যেনো আইকনিক স্টাইল। তিনি নুরা ফাতেহি। বলিউডের ‘আইটেম গার্ল’ কেবল নাচের ছন্দেই  অনুরাগীদের আপ্লুত করেন না, নোরার স্টাইলটাও মুগ্ধ করে অনুরাগীদের।

ক’দিন আগে খবর আসে এখন বলিউডের গণ্ডি ছেড়ে হলিউডে যাচ্ছেন নোরা।  গুঞ্জনটা উঠে অবশ্য হলিউডে এক মিউজিক অ্যালবামের কাজ করার সুবাধে। সে বিষয়টি নিয়েই মুখ খুললেন নোরা ফাতেহি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নোরা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কোনো জীবন নেই। আপনি যদি মনে করেন আমি অন্য কারো জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দেব তাহলে আপনি ভুল, এটা ভাবা হাস্যকর। আমি এখানেও থাকব, ওখানেও থাকব, সর্বত্র থাকব আমি। যেমন সিনেমায় অভিনয় করেছি ঠিক তেমনি সংগীত জগতেও কাজ করব।’

নোরা আরও বলেন, ‘আমার মোট তিনটি জগৎ রয়েছে। আমি যেহেতু কানাডায় জন্ম নিয়েছি, তাই সেটি আমার প্রথম জগৎ। মরক্কোয় আমি বহুদিন ছিলাম তাই সেখানে আমার অস্তিত্ব লুকিয়ে রয়েছে। সবশেষে ভারত এমন একটি দেশ যেখানে আমি আমার পরিচয় গঠন করতে পেরেছি, তাই এই দেশের সঙ্গেও আমার ভালোবাসা অপরিসীম।’

আমেরিকান গায়ক জেসন ডেরুলোর সঙ্গে ‘স্নেক’ নামের একটি মিউজিক অ্যালবামে অভিনয় করেছেন নোরা ফাতেহি। ডেরুলোর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম প্রথম ভীষণ লজ্জা পেতাম। আমি নিজেই প্রথমে গানটি রেকর্ড করেছিলাম। প্রথমে তার সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি আমার। তবে যখন একসঙ্গে ভিডিওতে কাজ করেছি, তখন অনেক গল্প হয়েছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালে মেয়র হতে চান জাপা প্রার্থীও, করলেন মামলা

২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ‘বিজয়’ চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। বুধবার তিনি বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।

এর আগে ১৭ এপ্রিল একই দাবি জানিয়ে মামলা করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির। তার পক্ষে ভোট দেখানো হয় ৩৩ হাজার ৮২৮টি। তার মামলা গ্রহণ করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালত জানাবে।

অন্যদিকে তাপসের আইনজীবী আব্দুল জলিল জানান, তাদের মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আদালত পরবর্তী তারিখে জানাবে। তবে বিকাল পর্যন্ত পরবর্তী তারিখ ধার্য হয়নি।

ইকবাল হোসেন তাপস জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা। তিনি সিটি নির্বাচনে ৬ হাজার ৬২৫ ভোট পেয়েছিলেন বলে জানানো হয়। ওই নির্বাচনে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই।

তাপস মামলায় অভিযোগ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হতেন। ভোটের আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দলের কর্মীদের শহরে এনে জড়ো করেছিলেন। তারা ভোটের দিন সব কেন্দ্র দখলে নেয়। ইভিএমে নৌকা প্রতীকে চাপ দিতে ভোটারদের বাধ্য করেন। তিনি (তাপস) সকাল সাড়ে ১০টায় কাউনিয়া শের-ই-বাংলা বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএম কক্ষে এক বহিরাগতকে হাতেনাতে ধরলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এদিকে মুফতি ফয়জুলকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সাধারণ নাগরিক ব্যানারে গত শুক্রবার থেকে নগরীতে ধারাবাহিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। আজ বিকালে সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচিও পালন করেছে তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ