‘রঙ্গনা’ নিয়ে চুপচাপ শাবনূর, নির্মাতা জানালেন নতুন কথা
Published: 21st, January 2025 GMT
সিনেমাপ্রেমীদের স্বপ্নের নায়িকা শাবনূর। একটা সময় তাঁর নামেই হল ভরে যেত। তাঁকে ডাকা হতো ঢাকাই সিনেমার রানী বলে। বেশ বিরতির পর তিনি অভিনয়ে ফিরছেন ‘রঙ্গনা’ সিনেমা দিয়ে। সিনেমাটির দৃশ্যধারণ অর্ধেকের বেশি শেষ হয়েছে। ‘রঙ্গনা’ দিয়ে সিনেমা নির্মাণে অভিষেক হচ্ছে হোসাইনের।
রোমান্টিক এবং থ্রিলার ঘরানার চিত্রনাট্যের পরতে পরতে ‘সাসপেন্স’ খেলা করে বলে ভাষ্য পরিচালকের। তবে সিনেমায় শাবনূরের চরিত্র নিয়ে এখনই খোলাসা করেননি তিনি। এরই মধ্যে প্রকাশ হওয়া একটি পোস্টার জানিয়ে দিয়েছে, শাবনূর ‘রঙ্গনায়’ আসছেন দ্বৈত চরিত্রে। দুটির মধ্যে একটি চরিত্রের দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে ‘রঙ্গনা’র দৃশ্যধারণ শুরু হয়। পুরান ঢাকা, পুবাইল, টঙ্গী, উত্তরা ও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুটিং হয়েছে। মে মাসে সিনেমার শুটিং শেষ করে আবার সিডনিতে গেছেন শাবনূর। এরপর কেটে গেল নয় মাসেরও বেশি সময়।
ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, নিজেকে আরও একটু প্রস্তুত হয়েই শুটিংয়ে ফিরবেন তিনি। ‘রঙ্গনা’র বাকি অংশের শুটিং হওয়ার কথা ছিল গত ৮ আগস্ট থেকে। দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ওই সময় দেশেই ফিরতে পারেননি অভিনেত্রী। তাই শুটিং পিছিয়েছিলেন শাবনূর। অস্ট্রেলিয়া থেকে মোবাইল ফোনে তিনি বলেছিলেন, ‘এখন শুটিং করার অবস্থায় আমরা কেউ নেই। দেশের এ পরিস্থিতিতে কেউই শুটিং করতে চাইবেন না। আমি সবসময় দেশের খবর রাখছি। সহকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশে ফিরব। তারপর শুটিংয়ের জন্য নতুন করে শিডিউল করব।’
এরপর ‘রঙ্গনা’র দ্বিতীয় ধাপের শুটিং শুরু করার কথা বলেছিলেন নির্মাতা আরাফাত। জানিয়েছিলেন, “দ্বিতীয় অংশের জন্য কিছুটা প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। এ কারণেই দীর্ঘ একটা বিরতি। আমাদের সব প্রস্তুতি এখন সম্পন্ন। আশা করছি, ডিসেম্বরে আবার ‘রঙ্গনা’র ক্যামেরা চালু করতে পারব।”
এর মধ্যে গুজব রটে যায়, শাবনূর সম্মানীর কারণে নতুন করে শিডিউল পাচ্ছেন না। এ কারণে মাঝপথে থেমে গেছে রঙ্গনার কাজ। নির্মাতা তাঁর সঙ্গে নাকি কথা দিয়ে কথা রাখেননি। সিনেমার দুই দফা কাজ পিছিয়েছে। আবার শাবনূরও সিনেমার কাজের বিষয়ে কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। এ কারণে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নির্মাতা বিরক্তির সুরে বললেন, ‘কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, রঙ্গনার শুটিং আর হচ্ছে না। এটা পুরোপুরি অবাস্তব কথা। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের শুটিং হবে। শিগগিরই শাবনূর আপা দেশে আসবেন, তারপর শুরু হবে সিনেমার দৃশ্যধারণ।’
শুটিং শুরু হওয়ার কোনো টাইম ফ্রেম আছে কি– জানতে চাইলে এ নির্মাতা আরও বলেন, ‘কখন শাবনূর আপা দেশে আসবেন, তা জানানো এবার একটু মুশকিল। তাঁর শুটিং শিডিউল জেনে গেলেই আবার নতুন করে আবার যড়যন্ত্র শুরু হবে। তাই ঘটা করে শুটিংয়ের সময় আর জানাতে চাই না। বরাবরের মতোই বিপক্ষ দল থেমে নেই। সিনেমা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আজেবাজে মন্তব্য ছড়ানো এখনও অব্যাহত রয়েছে। সবার কাছে একটাই অনুরোধ, গুজবে কান দেবেন না। তারকা অভিনেত্রী শাবনূর এক দশক পর সিনেমায় ফিরেছেন। এটি তাঁর কামব্যাক সিনেমা। দায়িত্বটা অনেক বড়। আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের চাওয়া– রঙ্গনাতে যেন কোনো অপূর্ণতা না থাকে। ঠিকঠাক একটি পরিচ্ছন্ন সিনেমা আমরা উপহার দিতে চাই।’
শাবনূর ছাড়াও সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন– কাজী হায়াৎ, ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, মিলি বাশারসহ অনেকে।
শুটিং শুরুর আগে শোনা গিয়েছিল, ‘রঙ্গনা’ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি দিতে চান পরিচালক। কিন্তু শুটিং শেষ না হওয়ার কারণে আপাতত তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ বন র
এছাড়াও পড়ুন:
টানা চার জয়ে শীর্ষে গুজরাট
আইপিএলের এবারের আসরে শুরুটা প্রত্যাশামতো না হলেও ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে গুজরাট টাইটান্স। প্রথম ম্যাচে হারলেও এরপর টানা চার জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন দলটি। সবশেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) রাতে রাজস্থান রয়্যালসকে ৫৮ রানে হারিয়েছে তারা।
আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ব্যাট ও বল—দু’দিকেই আধিপত্য দেখায় গুজরাট। আগে ব্যাট করে সাই সুদর্শনের ঝড়ো ইনিংস ও রাহুল তেওয়াটিয়া-রশিদ খানের ছোট ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে ভর করে তারা তোলে ৬ উইকেটে ২১৭ রান। জবাবে রাজস্থান ১৯.২ ওভারে থেমে যায় মাত্র ১৫৯ রানে।
শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাটের। অধিনায়ক শুভমন গিল মাত্র ২ রান করে আউট হন। তবে এরপর সাই সুদর্শন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ব্যাটিংয়ে। প্রথমে জশ বাটলারের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন। পরে শাহরুখ খানের সঙ্গে ৬২ রানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। ৫৩ বলে ৮২ রানের অসাধারণ ইনিংসে তিনি মারেন ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা।
আরো পড়ুন:
অফফর্মে থাকা ম্যাক্সওয়েল এবার শাস্তির মুখে
অদ্ভুতুড়ে আউট ঢাকা লিগে বিতর্ক
শেষ দিকে তেওয়াটিয়ার ১২ বলে ২৪ এবং রশিদের ৪ বলে ১২ রানের ঝোড়ো ক্যামিওতে স্কোরটা বিশাল হয়ে ওঠে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায়। যদিও অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও শিমরন হেটমায়ার কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। সঞ্জু ৪১ ও হেটমায়ার ৫২ রান করেন। রিয়ান পরাগের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রানে। তবে অন্যদের ব্যর্থতায় ১৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় রাজস্থান।
গুজরাটের প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা বল হাতে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। রশিদ খান ও সাই কিশোরের ঝুলিতে জমা পড়ে দুটি করে উইকেট। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা হন সুদর্শন।
এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে গুজরাট টাইটান্স। অন্যদিকে, রাজস্থান রয়্যালস ৫ ম্যাচে ৩ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে সপ্তম স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস, তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।
ঢাকা/আমিনুল