নেইল পলিশের ব্যবহার শুরু হয়েছিল চীনে। প্রায় ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনের রাজবংশের মানুষজনই কেবল এটি ব্যবহার করত। বর্তমানে রাজবংশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নেইল পলিশ ব্যবহারের প্রচলন আছে। এই সময়ের নারীরা পোশাক, হাতের ব্যাগ, পায়ের জুতা, অঙ্গের অলংকার—সবকিছুর সঙ্গে মিলিয়ে নখ সাজান যত্ন করে। নেইল পলিশ নারীর সৌন্দর্যে যোগ করে অন্য মাত্রা। কিন্তু নেইল পলিশ ব্যবহারের দুই-তিন দিন যেতে না যেতেই নখের অবস্থা একেবারে বারোটা বেজে যায়! নখের অনেক জায়গা থেকে নেইল পলিশ উঠে যায়। দেখতেও খারাপ লাগে। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলেন, নেইল পলিশ ব্যবহারের আগে বেশ কয়েকটি নিয়ম মানা দরকার।
কয়েক ধাপ মেনে নেইল পলিশ ব্যবহার করা যেতে পারে
নখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে নখে যেন তৈলাক্ত ভাব না থাকে। নখের পাশের কিউটিকলও ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন।এরপর নখ ভালো করে নেল ফাইল দিয়ে ঘষে পছন্দের আকারে আনুন। নেইল পলিশ ব্যবহারের শুরুতে একটি বেস কোট দিয়ে দিন। যেকোনও স্বচ্ছ বা নখের রঙের নেলপলিশ দিয়ে এই বেস তৈরি করে নিতে হবে। নেল পলিশ পরার সময় নখে মোটা দেওয়া যাবে না। বেস কোট শুকিয়ে গেলে তার উপর নেলপলিশের পাতলা আস্তরণ দিন। এবার নেলপলিশের উপরে আরও একটি আস্তরণ বা টপকোট দিন। স্বচ্ছ নেলপলিশ দিয়ে টপকোট করুন। টপকোটের জন্য যে স্বচ্ছ নেলপলিশ ব্যবহার করবেন, সেটির গুণমানের সঙ্গে কোনও আপোশ করা যাবে না। টপকোট টানার সময় নখের প্রান্ত পর্যন্ত টানুন।
উল্লেখ্য, নেইল পলিশ ব্যবহারের পরে অনেকেই হাত পানিতে ভেজান বা ডুবিয়ে রাখেন। এর কোনো প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক নখে নেলপলিশ লাগালে এক সপ্তাহ পর পর তুলে ফেলা ভালো।
আরো পড়ুন:
হাতের যত্নে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জেনে নিন
ত্বকে ডাবের পানি ব্যবহারের উপকারিতা
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ