রাজশাহীর দল গঠন নিয়ে সমালোচনায় তাসকিন আহমেদ
Published: 21st, January 2025 GMT
বিপিএলে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ফিরেছে দুর্বার রাজশাহী। দীর্ঘদিন পর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ফিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দলটি। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে সেই প্রত্যাশার পুরোটা মেটাতে পারেনি তারা। এরই মধ্যে বেতন সংক্রান্ত জটিলতা, অনুশীলন বর্জনের ঘটনা এবং দল গঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠে এসেছে।
টুর্নামেন্টের মাঝপথে অধিনায়ক পরিবর্তনের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এনামুল হক বিজয়ের পরিবর্তে নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তবে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে তাকে। চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে রাজশাহী হেরেছে ১১১ রানের বিশাল ব্যবধানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর দল গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো খেলোয়াড়কে ছোট করতে চাই না। তবে অন্যান্য দলের তুলনায় আমাদের দল কিছুটা দুর্বল। দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে ৩-৪ জন ভালো আছে। বিদেশিদের মধ্যে রায়ান বার্ল আর হারিস ছাড়া তেমন বড় নাম নেই। দল যারা গঠন করেছে, হয়তো শুরুতে ভুল করেছে। একই সময়ে ২-৩টি লিগ চলায় ভালো খেলোয়াড়দের পাওয়া যায়নি।’
তাসকিন জানান, দলের দুর্বলতা সত্ত্বেও সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তার কথায়, ‘আমাদের দল তুলনামূলক দুর্বল। মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের অভাব আছে। তবে যারা আছেন, তারাও খারাপ খেলোয়াড় নন। এখন ৩ ম্যাচ বাকি আছে, এর মধ্যে ২ ম্যাচ জিতলে কিছুটা সম্ভাবনা আছে। প্রসেসে থেকে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করছি। তবে সত্যি বলতে, কিছু ম্যাচ খুব বাজেভাবে হেরেছি। আশা করি সামনে ভালো কিছু হবে।’
অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়ে তাসকিন বলেন, ‘এটা ম্যানেজমেন্ট ও মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত। বিজয় ভাইয়ের সঙ্গে আমি অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে খেলছি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাকি কয়টা ম্যাচ আমিই নেতৃত্ব দেব।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তাসকিন। চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে দুই উইকেট শিকার করা এই পেসার বলেন, ‘রকেট সায়েন্স কিছু না। প্রতিটা ম্যাচে পরিস্থিতি বুঝে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে চাই। গত কয়েক বছর ধরে একই প্রক্রিয়ায় আছি—কীভাবে নিজেকে আরও উন্নত করা যায়। স্বপ্ন বড়, তবে প্রতিদিন নতুন করে শুরু করি। ভালো দিন বা খারাপ দিন, প্রতিটিই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
চেরির দুটি গাড়ি ও ইএলএফ লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে
চেরির নতুন এসইউভি গাড়ি ‘টিগো ৮ প্রো’ এবং ‘টিগো ক্রস’ বাংলাদেশের বাজারে ছাড়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফরাসি ব্র্যান্ড ইএলএফের লুব্রিকেন্টস বাজারে ছাড়া হয়। বাংলাদেশে ইএলএফ লুব্রিকেন্টসে অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এশিয়ান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এবং চেরি বাংলাদেশের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এশিয়ান মোটরস্পেক্স লিমিটেড, আজ র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও চেরি বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও ইএলএফ লুব্রিকেন্টসের মুখ্য অপিনিয়ন লিডার তামিম ইকবাল খান উপস্থিত ছিলেন। তামিম ইকবাল বলেন, ‘টিগো ৮ প্রো প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বেশ উন্নত এবং অত্যন্ত আরামদায়ক, যা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি ইএলএফ লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে আসায় আমি আনন্দিত। কারণ, গাড়ি ও মোটরবাইকের স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বিশ্বব্যাপী চতুর্থ স্থানে অবস্থানকারী ইএলএফ হাই পারফরম্যান্স প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং মোটরস্পোর্ট হেরিটেজের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফর্মুলা ওয়ান-এ ১৩৬ বারেরও বেশি জয়লাভ এবং সিএফ মোটরস, অ্যালপাইন রেনল্ট ও রয়্যাল এনফিল্ডের মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের পর ইএলএফ এখন বাংলাদেশের মোটরসাইকেল ও প্যাসেঞ্জার গাড়ির জন্য লুব্রিকেন্ট পারফরম্যান্সের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনে প্রস্তুত।
ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ইএলএফ শুধু একটি পণ্য নয়, বরং একটি ঐতিহ্যের নাম। বাংলাদেশের উষ্ণ আবহাওয়া এবং যানজটে ভরা রাস্তাগুলোর কথা মাথায় রেখে ইএলএফ যানবাহনের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। এটি গাড়ি, মোটরবাইক, বাস, ট্রাক কিংবা সিএনজি—সব ধরনের যানবাহনের সুরক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
অনুষ্ঠানে এশিয়ান হোল্ডিংসের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, ‘এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে চেরির কেবল দুটি নতুন মডেল নয়, জীবনধারার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছি।’
টিগো ৮ প্রো
চেরির ‘টিগো ৮ প্রো ১.৬টি’ ফ্ল্যাগশিপ মডেলে আছে শক্তিশালী ১৯৫ বিএইচপি টার্বোচার্জড পেট্রল ইঞ্জিন ও প্রিমিয়াম ইন্টেরিওর, যা সবার নজর কেড়েছে। এতে আছে ভেগান চামড়ার আসন, প্যানোরামিক সানরুফ, ৯টি এয়ারব্যাগ, ৩৬০ ডিগ্রি সেফটি সিস্টেম ও জেসচার কন্ট্রোলড টেলগেট, ডুয়েল ১২.৩ ইঞ্চি কার্ভড ডিসপ্লে, ওয়্যারলেস অ্যাপল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড অটো, প্রিমিয়াম সনি সাউন্ড সিস্টেমের মতো উন্নত বিভিন্ন সুবিধা। পার্ল হোয়াইট ও অরোরা গ্রিন রঙে এসইউভি মডেলটি পাওয়া যাবে। এ গাড়িটির দাম ৫৩ লাখ টাকা।
টিগো ক্রস
টিগো ক্রস একটি সুবিধাসমৃদ্ধ এসইউভি। এতে আছে ১৪৫ বিএইচপি ক্ষমতাসম্পন্ন ১.৫ লিটার টার্বোচার্জড ইঞ্জিন, স্টাইলিশ ব্ল্যাক ড্যাশবোর্ড, ডুয়েল-জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল, ১০.২৫ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন-এর পাশাপাশি অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন ও ৩৬০ ক্যামেরার মতো উন্নত সেফটি ফিচারস। এ গাড়ির দাম ৩৬ লাখ টাকা।