যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মার্কো রুবিও। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ৯৯ সিনেটরের সবাই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

মার্কো রুবিও কট্টর ইসরায়েলপন্থি হিসেবে পরিচিত। এছাড়া চীন বিরোধী হিসেবেও অনেকে জানেন তাকে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাছেও তিনি সমাদৃত। এ কারণে দলটির কোনো সিনেটর তার বিরুদ্ধে ভোট দেননি। তাদের অনেকে মনে করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের জন্য মার্কো রুবিও উপযুক্ত ব্যক্তি। সূত্র: রয়টার্স

তিনি ২০১১ সাল থেকে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক বছর আগেও তিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা করতেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবার তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পালন করতে যাচ্ছেন।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় সহযোগিতা করায় শেষ দিকে এসে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিজের শেষ সংবাদ সম্মেলনেও সাংবাদিকদের দ্বারা লাঞ্চিত হন ব্লিঙ্কেন। এক সাংবাদিক সবার সামনে তাকে ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে অভিহিত করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র পরর ষ ট রমন ত র পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ