Samakal:
2025-12-14@06:53:39 GMT

ওজন কমাতে ওটস খাবেন যেভাবে

Published: 21st, January 2025 GMT

ওজন কমাতে ওটস খাবেন যেভাবে

স্বাস্থ্য সচেতনতা থেকে আজকাল অনেকেই ওটস খান। কেউ কেউ ওজন কমাতেও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ওটস রাখেন। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা ওটস খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। যেমন-

১. সকালের নাশতায় ওটস খেলে দ্রুত ওজন কমে। যেহেতু ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, তাই এই খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।

২.ওটসের সঙ্গে ড্রাই ফ্রুটস কিংবা ফল মিশিয়ে খেলে পুষ্টি পাবেন। এতে পেটও ভরবে, আবার দ্রুত ওজনও কমবে।

৩.

ওটস দুধে ভিজিয়ে খেতে পারেন। আবার পানিতে ভিজিয়েও খেতে পারেন। দু'ভাবে খেলেই ওজন কমবে ।

৪.আগের দিন রাতে দুধে কিংবা পানিতে ওটস ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভালো হয়। এভাবে ওটস খেলে হজমে কোনও সমস্যা হবে না।

৫. বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মসলা ওটস। এই খাবারও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এটি ওজন কমাবে এবং জোগান দেবে ভরপুর পুষ্টির।

৬. দুধের মধ্যে ওটস ফুটিয়ে খেতে পারলে আপনার শরীরে ক্যালশিয়ামের জোগানও থাকবে ভরপুর। এর ফলে হাড়ের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব। মজবুত হবে হাড়ের গঠন।

৭.ওটসের সঙ্গে খেজুর, কিশমিশ, আমন্ড মিশিয়ে তার মধ্যে দুধ দিয়ে খেতে পারেন। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। এই খাবার আপনার ওজন কমাবে।

৮. ওটস খেলে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট নিয়ন্ত্রণে থাকে। তার প্রভাবেই ওজন কমে।

৯. যারা ওজন কমাতে ডায়েট করছেন তারা দিনে একবার অন্তত ওটস খান। দুধে মিশিয়ে খেতে অসুবিধা হলে পানিতে ফুটিয়েও খেতে পারেন।

১০.ফল,  ড্রাই ফ্রুটস, বিভিন্ন ধরনের সবজি মিশিয়ে খেতে পারেন ওটস।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ