স্বাস্থ্য সচেতনতা থেকে আজকাল অনেকেই ওটস খান। কেউ কেউ ওজন কমাতেও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ওটস রাখেন। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা ওটস খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। যেমন-
১. সকালের নাশতায় ওটস খেলে দ্রুত ওজন কমে। যেহেতু ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, তাই এই খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
২.ওটসের সঙ্গে ড্রাই ফ্রুটস কিংবা ফল মিশিয়ে খেলে পুষ্টি পাবেন। এতে পেটও ভরবে, আবার দ্রুত ওজনও কমবে।
৩.
৪.আগের দিন রাতে দুধে কিংবা পানিতে ওটস ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভালো হয়। এভাবে ওটস খেলে হজমে কোনও সমস্যা হবে না।
৫. বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মসলা ওটস। এই খাবারও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এটি ওজন কমাবে এবং জোগান দেবে ভরপুর পুষ্টির।
৬. দুধের মধ্যে ওটস ফুটিয়ে খেতে পারলে আপনার শরীরে ক্যালশিয়ামের জোগানও থাকবে ভরপুর। এর ফলে হাড়ের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব। মজবুত হবে হাড়ের গঠন।
৭.ওটসের সঙ্গে খেজুর, কিশমিশ, আমন্ড মিশিয়ে তার মধ্যে দুধ দিয়ে খেতে পারেন। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। এই খাবার আপনার ওজন কমাবে।
৮. ওটস খেলে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট নিয়ন্ত্রণে থাকে। তার প্রভাবেই ওজন কমে।
৯. যারা ওজন কমাতে ডায়েট করছেন তারা দিনে একবার অন্তত ওটস খান। দুধে মিশিয়ে খেতে অসুবিধা হলে পানিতে ফুটিয়েও খেতে পারেন।
১০.ফল, ড্রাই ফ্রুটস, বিভিন্ন ধরনের সবজি মিশিয়ে খেতে পারেন ওটস।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ