ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ সব ক্রিকেটারের জন্যই বিশেষ কিছু। একদিকে আর্থিক প্রাপ্তি, অন্যদিকে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগ করার সুযোগ। তবে এই সুযোগ হাতছাড়া হওয়া কতটা হতাশাজনক হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তাসকিন আহমেদ জানালেন, তিনি মোটেও হতাশ নন।  

আইপিএল খেলার সুযোগ প্রায় পেয়েও হারিয়েছেন তাসকিন। এবার পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ড্রাফটেও তার নাম ছিল। তাসকিনের বিপিএল দল দুর্বার রাজশাহীর মেন্টর ইজাজ আহমেদ জানিয়েছিলেন, লাহোর কালান্দার্সের সঙ্গে তিনি তাসকিনের বিষয়ে কথা বলবেন। তবে শেষ পর্যন্ত পিএসএল থেকে ডাক পাননি তাসকিন।  

পিএসএলের ড্রাফট থেকে ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের নাহিদ রানা, লিটন দাস ও রিশাদ হোসেন। কিন্তু অভিজ্ঞ তাসকিন আহমেদকে কোনো দল নেয়নি। বিষয়টি হতাশাজনক কি না, এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেন, ‘হতাশার কী আছে? যদি নিজের দেশকে ভালোভাবে সেবা দিতে পারি, যেখানেই খেলি ভালো করতে পারি, তবে সুযোগ আসবে। এর আগে তিনবার আইপিএলে ডাক পেয়েও যেতে পারিনি। হতাশ হলে এত দিনে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যেতাম। আমি একদমই হতাশ নই।’  

তাসকিন জানান, ড্রাফটে দল না পেলেও তিনি এখনো আশাবাদী। কোনো দল যদি খেলোয়াড় বদল করতে চায়, সেক্ষেত্রে সুযোগ আসতে পারে। তার ভাষায়, ‘ড্রাফটে দল পাইনি, কিন্তু কেউ যদি বদলি খেলোয়াড় প্রয়োজন মনে করে, তখন ডাক আসতে পারে। পিএসএলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই। ব্যক্তিগতভাবে এখনো কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।’  

দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাসকিনের অভিষেক হয়েছে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল)। সেখানে কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। তবে আইপিএল ও পিএসএলে এখনো অপেক্ষা তার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসএল প এসএল

এছাড়াও পড়ুন:

এবার রিশাদের ২ উইকেট ও ২ রান, রান উৎসবের ম্যাচে হেরে গেল লাহোর

পিএসএলে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনটি–তিনটি করে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তাঁর দারুণ বোলিং লাহোর কালান্দার্সকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আজও ২ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। তবে ছিলেন বেশ খরুচে; ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৫ রান।

অবশ্য শুধু রিশাদ কেন, রান উৎসবের ম্যাচে বেশিরভাগ বোলারই আজ কঠিন সময় পার করেছেন। তবে ম্যাচ শেষে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে মুলতান সুলতানস। রিশাদের লাহোরকে তারা হারিয়েছে ৩৩ রানে।

এবারের পিএসএলে নিজেদের মাঠ মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এটিই মুলতানের প্রথম ম্যাচ। নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ হারা দলটি এ রাতেই পেল প্রথম জয়।

ওপেনার ইয়াসির খানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে (৬টি করে চার ও ছক্কায় ৪৪ বলে ৮৭) ২২৮ রানের পাহাড় গড়েছিল মুলতান। জবাবে লাহোর ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫  রানে থামে। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন উবাইদ শাহ। মুলতানের পেসার উবাইদের আরেক পরিচয় পাকিস্তান জাতীয় দলের ফাস্ট বোলার নাসিম শাহর ছোট ভাই।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৯ রান তুলে ফেলেছিল মুলতান, যা এবারের পিএসএলে পাওয়ারপ্লেতে দলীয় সর্বোচ্চ। সপ্তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন রিশাদ, দেন ১০ ওভার। ১২তম ওভারে আবার বোলিংয়ে ফিরে দেন ১২ রান।

তবে নিজের শেষ দুই ওভারে ২ উইকেট নেন রিশাদ। এই দুই ওভারে আরও ২৩ রান দিলেও আউট করেন উসমান খান আর অ্যাস্টন টার্নারকে। এরপরও মুলতানের রানের লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। হারিস রউফ ও শাহিন আফ্রিদি আজ দেদারসে রান বিলিয়েছেন। শেষ দিকে ইফতিখার আহমেদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২২৮ রান করে ফেলে স্বাগতিকেরা।

কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও ফখর জামানের উইকেট হারায় লাহোর কালান্দার্স। দলীয় ৮৭ রানের মধ্যে হারায় প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে।

এরপরেই ব্যাটিংয়ে নামেন রিশাদ। আগের দুই ম্যাচে আটে ও সাতে নামা এই অলরাউন্ডার আজ আরও এক ধাপ ওপরে উঠে এসে ব্যাট করলেও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। ২ বলে ২ রান করে লেগ স্পিনার উসামা মিরের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন।

তবু লাহোরের জয়ের কিঞ্চিৎ আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন স্যাম বিলিংস ও সিকান্দার রাজা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিং শুধু লাহোরের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। রিশাদদের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার বাবর আজমের পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর

মুলতান সুলতানস: ২০ ওভারে ২২৮/৫ (ইয়াসির ৮৭, ইফতিখার ৪০*, উসমান ৩৯, রিজওয়ান ৩২; রিশাদ ২/৪৫, রাজা ১/১৫, আসিফ ১/২৬, আফ্রিদি ১/৪৩)।

লাহোর কালান্দার্স: ২০ ওভারে ১৯৫/৯ (রাজা ৫০*, বিলিংস ৪৩, ফখর ৩২; উবাইদ ৩/৩৭, ব্রেসওয়েল ২/২০, উসামা ২/২৬)।

ফল: মুলতান সুলতানস ৩৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইয়াসির খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন কোচ তাহলে পেয়ে গেছে পাকিস্তান, জানা গেল নাম
  • দুই উইকেট নিয়ে সবার উপরে রিশাদ
  • এবার রিশাদের ২ উইকেট ও ২ রান, রান উৎসবের ম্যাচে হেরে গেল লাহোর