রাজধানীর পল্টন-বিজয়নগর এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সাজু মোল্লা (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার শরীরে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বিজয়নগর পানির টাংকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহত সাজু মোল্লার বাড়ি গোপালগঞ্জের সদর উপজেলায়। বর্তমানে মুগদার মান্ডা এলাকায় থাকতেন তিনি। তার বাবার নাম মোতালেব মোল্লা।

সাজুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার বন্ধু বায়জিদ জানান, বিজয়নগর এলাকার একটি বাসার প্রাইভেটকার চালান সাজু। গতরাতে মুগদা বাসা থেকে বায়জিদ তার নিজের অটোরিকশায় করে সাজুকে নিয়ে আসেন বিজয়নগর। বিজয়নগর পানির টাংকি এলাকার রাস্তায় তাকে নামিয়ে দিয়ে বায়জিদ রাস্তার উল্টো পাশে গিয়ে চা পান করছিলেন। এর কয়েক মিনিট পরে গলি থেকে চিৎকার শুনতে পান এবং বায়জিদকে নাম ধরে ডাকতে শুনেন। তখন তিনি দৌড়ে রাস্তার উল্টো পাশে গিয়েও সাজুকে আর দেখতে পাননি। পরবর্তীতে স্থানীয় থানায় কল করলে পুলিশের সহযোগিতায় একটি গলি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাজুকে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

বায়জিদ আরও জানান, তার ধারণা গলি দিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন সাজু। তার মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেওয়ায় তাকে কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে গেছে।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো.

ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহটি জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ