রাউজানে সহ-সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা
Published: 21st, January 2025 GMT
রাউজানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে রাউজান উপজেলা অডিটোরিয়াম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে রাফির উপস্থিতিতে হট্টগোলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
রাউজানের ছাত্র প্রতিনিধি (সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত) এম. আবেদীন সাজিদ বলেন, আবদুল্লাহ আল হামিদ নামে একজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা ছাত্রলীগ ও সেন্ট্রাল বয়েজ অফ রাউজানের সদস্য। এই ঘটনায় থানায় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে সোমবার রাউজান উপজেলা অডিটোরিয়ামে রাউজান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক গণঅভ্যুত্থান ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন রাফি। সেখানে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘ঘটনা প্রবাহ, চলমান সংকট ও নিরসন, আজকের প্রজন্ম ও আগামীর বাংলাদেশ’। সেখানে রাফির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী রাত ১১টায় সমকালকে বলেন, অনুষ্ঠানের ভেতরে হট্টগোল হয়েছে। বিস্তারিত জানি না। অভিযোগ দায়ের করার জন্য কিছু ছাত্র এসেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ