হারের বৃত্তে আটকে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের সামনে এখনো প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন বেঁচে আছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৬ রানের হারেও আশাবাদী আরিফুল হকের দল। সিলেটের বিদেশি ক্রিকেটার সামিউল্লাহ শিনওয়ারি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, বাকি চারটি ম্যাচ জিতে প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্য তাদের।  

শিনওয়ারি বলেন, ‘এখনো ৪টি ম্যাচ বাকি আছে। আমরা যদি ভালো ব্যবধানে জয় তুলে নিতে পারি এবং বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে সেরাটা দিতে পারি, তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব। অনেক দল এখনো পয়েন্ট টেবিলে আমাদের কাছাকাছি রয়েছে। যদি ১২ পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে পারি, তাহলে ভালো সুযোগ থাকবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

শিনওয়ারি এদিন দলের ক্রিকেটার জাকের আলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জাকের দুর্দান্ত একজন ক্রিকেটার। তিনি জানেন চাপের পরিস্থিতিতে কেমন খেলা প্রয়োজন। এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বড় খেলোয়াড়রা যেভাবে পারফর্ম করে, সেও তাই করেছে। দলের জন্য এটা ইতিবাচক। আশা করি, সে তার এই ফর্ম ধরে রাখবে এবং বাংলাদেশের হয়ে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভালো পারফর্ম করবে।’  

ঢাকার বিপক্ষে ৬ রানের হারের পেছনে কী পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, সে বিষয়ে শিনওয়ারি বলেন, ‘আমরা খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু মনে হয় ১৫-২০ রান অতিরিক্ত দিয়ে ফেলেছি। এখানেই পার্থক্যটা হয়ে গেছে। আমরা বোলিং, ফিল্ডিং এবং ব্যাটিং ভালো করেছি। তারপরও ম্যাচটা হেরেছি। তবে এখনো ৪টি ম্যাচ বাকি আছে। আশা করছি, সেগুলোতে ভালো করতে পারব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল শ নওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ