মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে  বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউজ বাইডেন প্রশাসনের বাতিল হয়ে যাওয়া নির্বাহী আদেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাইডেন স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশ রয়েছে, যা মার্কিন সরকারকে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ, ভয় দেখানো বা সম্পত্তি দখলের চেষ্টাকারী যেকোনো বিদেশি নাগরিককে নিষেধাজ্ঞার ক্ষমতা দিয়েছে।

বাইডেনের মূল নির্বাহী আদেশে পশ্চিম তীরে ‘উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার উচ্চ মাত্রা’ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করা হয়েছিল।

টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ইসরায়েলের ব্যাপক ব্যর্থতার কারণে ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান হতাশার মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিষেধাজ্ঞার আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন।

বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো মূলত উপেক্ষা করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারের আমলে সমস্যাটি আরো খারাপ হয়েছে।

ইসরায়েলের বিদায়ী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপন ও সহিংসতার ঘটনাগুলোকে একটি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বাইডেনের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে, গত এক বছরে আটটি পৃথক ব্যাচে ১৭ জন ব্যক্তি এবং ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ট্রাম্প প্রশাসন এখন তুলে নিয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, উত্তর পশ্চিম তীরে আল-ফুন্ডুক গ্রামে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই ট্রাম্প প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ