সহিংস ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
Published: 21st, January 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউজ বাইডেন প্রশাসনের বাতিল হয়ে যাওয়া নির্বাহী আদেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাইডেন স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশ রয়েছে, যা মার্কিন সরকারকে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ, ভয় দেখানো বা সম্পত্তি দখলের চেষ্টাকারী যেকোনো বিদেশি নাগরিককে নিষেধাজ্ঞার ক্ষমতা দিয়েছে।
বাইডেনের মূল নির্বাহী আদেশে পশ্চিম তীরে ‘উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার উচ্চ মাত্রা’ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করা হয়েছিল।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ইসরায়েলের ব্যাপক ব্যর্থতার কারণে ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান হতাশার মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিষেধাজ্ঞার আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন।
বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো মূলত উপেক্ষা করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারের আমলে সমস্যাটি আরো খারাপ হয়েছে।
ইসরায়েলের বিদায়ী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপন ও সহিংসতার ঘটনাগুলোকে একটি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
বাইডেনের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে, গত এক বছরে আটটি পৃথক ব্যাচে ১৭ জন ব্যক্তি এবং ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ট্রাম্প প্রশাসন এখন তুলে নিয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, উত্তর পশ্চিম তীরে আল-ফুন্ডুক গ্রামে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই ট্রাম্প প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’