যশোরের মনিরামপুরে পিকআপচাপায় আব্দুল মজিদ (৫০) নামে এক ইজিবাইক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো তিনজন। 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল মজিদ উপজেলার মুন্সিখানপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, যশোরমুখী মাছবাহী পিকআপ ভ্যানটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে বাঁচাতে সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটের সামনে ইজিবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চালক আব্দুল মজিদকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এ সময় পিকআপে থাকা আব্দুর রহমান (৪০), বিল্লাল হোসেন (৪৫) ও অপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

তন্ময় কুমার বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আব্দুল মজিদের মৃত্যু হয়। 

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়।

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ