হাসপাতালে গিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ভোটার করবে ইসি
Published: 21st, January 2025 GMT
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের হাসপাতালে গিয়ে ভোটার করে নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ভুল থাকলে ইসি সেগুলোও সংশোধন করে দেবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত চিঠি তিনটি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ইসির এনআইডি শাখার পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) মো. আব্দুল মোমিন সরকার।
তিনি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে এ চিঠি প্রেরণ করেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আমাদের বিজয় এনে দিয়েছেন তাদের অনেকে এখনও হাসপাতালের বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা সে সকল সূর্য সন্তানদের তথ্য ও বায়োমেট্রিক হাসপাতালে গিয়ে সংগ্রহ করতে চাই। এছাড়া তাদের এনআইডিতে কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে/হারিয়ে গেলে সে ব্যাপারেও সহযোগিতা দেওয়া হবে।
এমতাবস্থায়, চিকিৎসাধীন আহত ছাত্র-জনতার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী তথ্য ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্ধারিত সময়ে প্রস্তুত রাখার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মঙ্গলবার এবং অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানে বুধবার এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ঢাকা/হাসান/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আটক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যে সংযোজন- বিয়োজনসহ বায়োমেট্রিক জালিয়াতির অভিযোগে সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলম।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন শাখার উপ-পরিচালক তকবির আহমদ ও সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসে। রাতে অফিসে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ডাটা এন্টি অপারেটরকে দেখতে পায় তদন্ত কমিটি। তখন নথিপত্রসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট পর্যবেক্ষণ করে তারা দুর্নীতির তথ্য পান। বিশেষ করে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংযোজন-বিয়োজন এবং বায়োমেট্রিক জালিয়াতির প্রমাণ পায় তদন্তকারী দল। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা পুলিশকে কল দিয়ে অভিযুক্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলমকে তাদের হেফাজতে দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এ প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচন কমিশনের তদন্তকারী দলসহ তারা সরেজমিনে গিয়ে দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দুজনকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি রুল আমীন বলেন, দুজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।