উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত দিনাজপুরসহ উত্তরের জনপদ। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। কনকনে হাঁড়কাপানো ঠান্ডায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না এজেলার মানুষ। থেমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মচাঞ্চল্য।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.

২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। 

সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। 

তিনি জানান, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯০ শতাংশ। 

জানা যায়, দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬টার তাপমাত্রা: তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) ১০.৭, সৈয়দপুর ১১.৫, রংপুর ১১.৭, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) ১১.৮, ডিমলা (নীলফামারী) ১১.৮, বদলগাছি (নওগাঁ) ১০.২, বগুড়া ১১.৮, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১১.৮, যশোর ১১.০ ও চুয়াডাঙ্গায় ১১.৩  ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গায়ে জড়িয়েছেন শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস পরের দিন সকাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। 

গরম জামাকাপড় পরার পাশাপাশি চুলায় আগুন জ্বালিয়েও নিজেকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। শীতে জবুথবু হয়েও কাক ডাকা ভোরে অনেক শ্রমজীবী মানুষেরা ঘর থেকে বের হচ্ছেন। শীতকে উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন ফসলি মাঠে কাজ করছেন শ্রমিকরা।

ঢাকা/মোসলেম/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় আবারো মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসেবে এ এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এর আগে, মঙ্গলবার একই সময়ে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে শীতের দাপট। সকাল অবধি ঘর কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে ফের বাড়ছে শীত।

কনকনে শীতে দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সময়মত কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে । ফলে আবারো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে এ তাপমাত্রা এমন থাকতে পারে আরো কয়েকদিন।”

ঢাকা/নাঈম/ইমন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তাপমাত্রা কমেছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবুও স্বস্তি
  • পঞ্চগড়ে ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ