সুন্দরবনে একসঙ্গে ৩ বাঘের দেখা পেলেন পর্যটকরা
Published: 21st, January 2025 GMT
সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে বাঘ দেখা সবসময়ই ভাগ্যের ব্যাপার। বহু পর্যটক বছরের পর বছর ঘুরেও বনের রাজাকে দেখার সুযোগ পান না। তবে রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় একসঙ্গে তিনটি বাঘ দেখতে পান এমভি আলাস্কা নামের একটি পর্যটকবাহী লঞ্চের যাত্রীরা।
পর্যটক গাইড মো. আল-আমিন জানান, লঞ্চটি কটকা এলাকার বেতমোড় খালের কাছে পৌঁছালে পর্যটকরা তিনটি বাঘকে একত্রে দেখতে পান। এ সময় দুটি পুরুষ বাঘ অপর একটি বাঘকে আক্রমণ করে নদীতে ফেলে দেয়। বাঘটি কিছুক্ষণ পানিতে ভেসে থাকার পর সাঁতরে তীরে উঠে বনের গভীরে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, সুন্দরবনের কটকা অফিস পাড় থেকে দুটি বাঘ এবং বেতমোড় এলাকা থেকে আরেকটি বাঘ এসে একত্র হয়েছিল। এমন দৃশ্য দেখেছেন লঞ্চে থাকা পর্যটকরা। অনেকেই এ সময় বাঘের ছবি ধারণ করেছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
তিনি আরো জানান, সুন্দরবনে বাঘের আবাসস্থল উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে বাঘের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
ঢাকা/শহিদুল/ইমন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দরবন র একসঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলছে সাংগঠনিক সপ্তাহ। সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর টেন্টে জমেছে নবীনদের ভিড়। নিজেদের প্রতিভা বিকাশ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত নবীন শিক্ষার্থীরা।
গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ সাংগঠনিক সপ্তাহের মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি থেকে। এবারের আয়োজনের বিশেষত্ব হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে ৩৭টি সংগঠন একসঙ্গে অংশগ্রহণ করছে, যেখানে আগে অর্জুন তলায় দুই সপ্তাহে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
এ আয়োজনকে ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন সংগঠনের টেন্ট ঘুরে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী সদস্য হতে ফর্ম সংগ্রহ করছেন। কেউ সংগীত, কেউবা বিতর্ক বা ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুঝলাম, পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ফটোগ্রাফি ও বিতর্ক নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই এ দুই সংগঠনে সদস্যপদ নিতে ফর্ম নিয়েছি।”
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম। এখানে এসে দেখলাম, অনেক সংগঠন সাংস্কৃতিক চর্চা করে। গানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই একটি সংগঠনে সদস্য হয়েছি। পাশাপাশি, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও যোগ দিয়েছি, যাতে মানুষের জন্য কিছু করতে পারি।”
সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনগুলোর সদস্যরাও ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ নতুনদের ক্যাম্পাস ও সংগঠনের নিয়ম জানাচ্ছে, কেউ সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিবরণ দিচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ব্লাড গ্রুপিং, ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক সপ্তাহ শুধু সদস্য সংগ্রহের অনুষ্ঠান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশেরও বড় সুযোগ। নতুনদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর অংশ হতে কতটা আগ্রহী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, “আগের বছরগুলোর মতো আলাদা ধাপে সাংগঠনিক সপ্তাহ না করে এবার একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। যাতে সব সংগঠন সমানভাবে সদস্য সংগ্রহের সুযোগ পায় এবং নবীন শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে সব ক্লাবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।”
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী