কিয়ারার সিনেমা ফ্লপ, সে দোষ আমার না: উর্বশী
Published: 21st, January 2025 GMT
ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা ও কিয়ারা আদভানি। কিছুদিন আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তাদের দুই সিনেমা। বলা যায়, এখন বক্স অফিসে মুখোমুখি তারা। তুলনামূলকভাবে, কিয়ারার ‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমার চেয়ে ভালো করছে উর্বশীর ‘ডাকু মহারাজ’। এরই মাঝে উর্বশীর একটি মন্তব্য নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেট দুনিয়ায়।
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নালকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন উর্বশী রাউতেলা। এসময় তাকে বলা হয়, কিয়ারার ‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমার চেয়ে ‘ডাকু মহারাজ’ ভালো সাড়া ফেলেছে। এ বিষয়ে উর্বশী রাউতেলা বলেন, “এই টিমের সদস্য হিসেবে পুরো টিম নিয়ে আমি গর্বিত। এর আগে শঙ্কর স্যারের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান টু’ সিনেমায় কাজ করেছি। তিনি একজন দূরদর্শী চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি মানুষ হিসেবেও ভালো, তার সঙ্গে আমারও সম্পর্ক ভালো।”
উদাহরণ টেনে কথা বলতে গিয়ে কিয়ারাকে ‘খোঁচা’ দিয়েছেন উর্বশী। অন্তত নেটিজেনরা তেমনটাই বলছেন। উর্বশী বলেন, “টুইটারে বেশ কিছু পোস্ট পড়েছি। সেখানে মানুষ বলছেন— ‘কিয়ারা আদভানির সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং উর্বশীর ‘ডাকু মহারাজ’ সুপার-ডুপার হিট।’ আমার মনে হয়, তার সিনেমা যে চলেনি, সেটার দোষ আমার নয়।”
দর্শকরা উর্বশীর পারফরম্যান্সের প্রশংসা করছেন। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “দর্শকরা ‘ডাকু মহারাজ’ সিনেমা পছন্দ করেছেন। সিনেমাটিতে আমার অভিনয় ও আমার ‘দাবিডি ডিবিডি’ শিরোনামের গানটিও প্রশংসা কুড়াচ্ছে। আমার অ্যাকশন দৃশ্য দেখেও প্রশংসা করছেন। তা হলে আমার আর কী দরকার? একজন অভিনেত্রী হিসেবে সবসময়ই বড় ব্যানার এবং দূরদর্শী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। অভিনন্দন সিতারা এন্টারটেইনমেন্টকে।”
ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উর্বশী রাউতেলা বলেন, “যা কিছু হয়েছে তার সবই দর্শকদের ভালোবাসার কারণে। যতদূর জানি, আমার ভক্তরা খুবই অনুগত। সত্যিকার অর্থে তারা আমার জন্য লড়াই করেন। বিশ্বব্যাপী আমার বিশ্বস্ত ভক্ত-অনুরাগী রয়েছেন। শুধু ভারতের প্রজেক্ট নয়, আমার আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট নিয়েও তারা সরব থাকেন। এসব পেয়েছি আমার অতীতের কাজের জন্য। বিশ্বব্যাপী বিশ্বস্ত ভক্ত পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।”
‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমায় কিয়ারা আদভানির বিপরীতে অভিনয় করেছেন রাম চরণ। ২০২১ সালের শেষ লগ্ন থেকে আলোচনায় এটি। এতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাম চরণ। ৪০০-৪৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে এটি নির্মাণ করেছেন এস.
অন্যদিকে তেলেগু ভাষার ‘ডাকু মহারাজ’ সিনেমা কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নান্দামুরি বালাকৃষ্ণা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপায়ন করেছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা। ‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমার খরচের তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয়ে অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ‘ডাকু মহারাজ’ নির্মাণ করেছেন ববি কোলি। ৮ দিনে বিশ্বব্যাপী এটি আয় করেছে ১০৯ কোটি রুপির বেশি।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীও মনে করেন, ট্রান্স নারী মানেই নারী নন
যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার এখন আর মনে করেন না, একজন ট্রান্স নারী আইনি বা প্রাকৃতিক অর্থে নারী।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র এমনটাই জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের ঘোষিত এই রায় ‘সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা’ এনেছে। রায় অনুযায়ী, ট্রান্স নারীরা আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে নারীর সংজ্ঞায় পড়েন না।
২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে স্যার কিয়ার বলেছিলেন, ‘ট্রান্স নারী অর্থই নারী’। তিনি এটাও বলেছিলেন, এটা ‘সঠিক নয়’ যে শুধু নারীর সার্ভিক্স (জরায়ুর মুখ) থাকে।
সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে স্টারমারের মুখপাত্র বলেন, ‘না, সুপ্রিম কোর্ট ইকুয়ালিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী স্পষ্ট করেছেন, নারী মানে একজন জৈবিক নারী। আদালতের রায়ে এটি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।’
মুখপাত্র আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নারী মানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী। আদালত এটাকে একেবারে পরিষ্কার করেছেন। তিনি এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ, এটি পরিষ্কার নির্দেশনা দেয় এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
কখন মত পাল্টালেন স্টারমার
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন, নারী মানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী। আদালতের রায় সেই অবস্থানকেই সমর্থন করেছে।’
স্টারমার অতীতে নারী সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এবং তাঁর বক্তব্য বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। ২০২৩ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘৯৯ দশমিক ৯০ শতাংশ নারীর ‘পুরুষের জননাঙ্গ’ নেই। পরে আবার বলেন, নারী মানে ‘একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী’। এরপর স্যার টনি ব্লেয়ারের মতামতকে সমর্থন করে তিনি আবার বলেন, ‘নারীর থাকে নারীদের জননাঙ্গ’ এবং পুরুষের থাকে ‘পুরুষের জননাঙ্গ’।
টয়লেট ব্যবহার ও নতুন নির্দেশনা
নারী ও সমতাবিষয়ক মন্ত্রী ব্রিজেট ফিলিপসন বলেন, ট্রান্স নারীরা এখন নারীদের প্রসাধনাগার ব্যবহার করতে পারবেন না।
ফিলিপসন বলেন, প্রসাধনাগার বা অন্যান্য একক-লিঙ্গ সুবিধা জৈবিক লিঙ্গের (নারী-পুরুষ) ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
তবে মন্ত্রী বলেন, অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও জনসমাগম এলাকায় ইতিমধ্যে নারী-পুরুষ সবার জন্য একক প্রসাধনাগার চালু করেছে। ভবিষ্যতেও ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে’।