পাচার হওয়া সম্পদ চিহ্নিত করতে বিদেশে যাবে প্রতিনিধি দল
Published: 20th, January 2025 GMT
বাংলাদেশিদের বিদেশে পাচার করা সম্পদ চিহ্নিত করে ফেরত আনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশে প্রতিনিধি দল পাঠাবে সরকার। এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গত রোববার রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে এন্ট্রাপ্রেনিউর অরগানাইজেশন আয়োজিত নবম গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ অ্যাওয়ার্ড (জিএসইএ) অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধু দল পাঠিয়ে কাজ হবে না। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অর্থ পাচারের মামলা নিয়ে কাজ করছে। তিনি জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সব অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়তো সম্ভব হবে না। ঠিক কবে নাগাদ এসব অর্থ ফিরিয়ে আনা হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, এখনই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা কঠিন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থ পাচারের পরিমাণ নিয়ে শ্বেতপত্রে একটি পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। তারা কোথা থেকে এ তথ্য পেয়েছে, পরিষ্কার নয়। অবশ্যই দেশের বাইরে অর্থ পাচার হয়েছে। এখন সরকার প্রথমে কোথায় অর্থ স্থানান্তরিত হয়েছে, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যার পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রতি বছর গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য অপরাধীদের উৎসাহিত করবে: চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
দুজন নারীর সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে একটি চিহ্নিত উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে তাদের লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেছে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এমন ঘটনা একটি ফৌজদারি অপরাধ। অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো কথা নেই। এতে অপরাধীরা উৎসাহিত হবে।
রাজধানীর লালমাটিয়ায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিখিল দাস ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওপেন স্পেসে (উন্মুক্ত স্থানে) সিগারেট না খাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু সিগারেট খাওয়া–সংক্রান্ত আইনে টংদোকান ওপেন স্পেসের (উন্মুক্ত স্থান) মধ্যে পড়ে না, তিনি হয়তো আইনটি পড়ে দেখেননি।’
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, একটি চিহ্নিত উগ্র সাম্প্রদায়িক নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠী ক্রমাগত নারীদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নারীদের নির্যাতন করতে দেখা গেছে। শুধু তা–ই নয়, এই গোষ্ঠী নারীদের খেলা বন্ধ করা, সাংস্কৃতিক আয়োজন বন্ধ করা, মাজারে আক্রমণসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা সরকার এসব বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে চরম ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কীভাবে ক্রিমিনাল অফেন্সকে জাস্টিফাই করেন’৫ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সরে যাওয়া উচিত বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নারী লাঞ্ছনাসহ সব মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন‘পাবলিক প্লেসে’ ধূমপান নারী–পুরুষ সবার জন্য অপরাধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা০২ মার্চ ২০২৫