মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারির কথা জানালেন ট্রাম্প
Published: 20th, January 2025 GMT
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে, আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত। এ দুই সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করার কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে যে ‘লাখ লাখ অপরাধী’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমার ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ বা ‘মেক্সিকোতেই থাকো’ নীতি পুনরায় কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরও সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে। মাদক চক্রগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হবে নির্বাহী আদেশে।
তিনি আরও বলেন, ‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে। এ আইনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে। মাদক চক্র বা কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে।
'এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮' পুনর্বহাল করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো 'যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো' দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেস ক্লাবের জমিতে ঘর তুললেন যুবদল নেতা
জেলা প্রশাসক থেকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কসবা প্রেস ক্লাবের চার শতক জমিতে রাতের আঁধারে ঘর তুললেন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম। শুধু জমি দখল করেই ক্ষান্ত হননি, সাংবাদিকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, প্রেস ক্লাবের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সাংবাদিক কার্তিক কর্মকারের কাছ থেকে দুই শতক জমি কেনা হয়। কার্তিক কর্মকার আরও দুই শতক জমি দান করেন। ২০১৭ সালে ২৪ মে দলিল রেজিস্ট্রি হয়। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে বাউন্ডারি নির্মাণ করে দেন। ২০২২ সালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কসবা প্রেস ক্লাবকে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা নান্দনিক প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণ করার ঘোষণা দিলে পৌরসভা থেকে মাটি পরীক্ষা, ভবনের নকশাসহ যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর জাহাঙ্গীর আলম লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ওই জমি ঘিরে থাকা ২৪টি বাউন্ডারি পিলার ভেঙে রড, সিমেন্ট, বালি, কংক্রিটসহ ১০-১১ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যান। সেখানে ভবনের কাজ শুরু করতে চাইলে প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সংগঠনের অন্য সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতেও অভিযোগ করা হয়। আদালতের নির্দেশে কসবা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমকে ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়েও জাহাঙ্গীর লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে রাতের আঁধারে সেখানে ঘর তুলেছেন।
কসবা থানার ওসি আবদুল কাদিরসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ পেয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তিনি রাজি হননি। তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাঁর ভাই বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসকেও জানানো হয়েছে। এর পরও তিনি কথা শোনেননি। উল্টো পুলিশকে হুমকি দিচ্ছেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম স্বপন বলেন, জাহাঙ্গীর আলম আরও অনেকের জায়গা দখল করে বিএনপির মুখে চুনকালি দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।
কসবা-আখাউড়ার বিএনপির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া জানান, ভূমিদস্যূ ও জুলুমবাজদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা বিএনপির নাম বিক্রি করে ফায়দা লুটছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।