Samakal:
2025-01-31@11:48:22 GMT

ডিস্ক প্রলাপস

Published: 20th, January 2025 GMT

ডিস্ক প্রলাপস

মেরুদণ্ডের দুটি কশেরুকা ও ভার্টিব্রার মধ্যে ফাঁকা স্থানে বিশেষ এক ধরনের জেলির মতো বস্তু বা ডিস্ক থাকে। ডিস্কগুলো মেরুদণ্ড বাঁকানো ও প্রসারিত করতে সাহায্য করে। ডিস্কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ফুলে গেলে বা স্থানচ্যুত হলে তখন সেটিকে বলে ডিস্ক প্রলাপ্স বা  পিএলআইডি

কম্পিউটার সিস্টেম এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানবজীবন এখন অনেক সহজ হয়েছে। বর্তমানে আমরা খুব সহজেই অল্প পরিশ্রমে অনেক কাজ করে ফেলতে পারি; যার ফলে এখন আমাদের কায়িক পরিশ্রম কম করা হয় এবং মানুষ আলস্যের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। শারীরিক সুস্থতা, ফিটনেস এগুলো সবই কমে যাচ্ছে এবং এর ফলে নানা রকম অসুখ-বিসুখ দেখা দিচ্ছে যেমন– ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্থূলতা ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে ডিস্ক প্রলাপস বা পিএলআইডি; যার অর্থ হলো, কোমরের মেরুদণ্ডের দুটি হাড়ের মধ্যস্থ ডিস্কের অন্তসহ জেলি সরে যাওয়া এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই জেলি বের হয়ে পেছনের দিকের নার্ভগুলোকে চাপ দিতে পারে। এর ফলে কোমর ব্যথা পায়ের দিকেও চলে যেতে পারে।
কারণ 
lঅতিরিক্ত ওজন
lদীর্ঘ সময় বসে থাকা
lভুল পজিশনে দীর্ঘ সময় কাজ করা ও থাকা
l শারীরিক ফিটনেস কমে যাওয়া
l কোমরের মাংসপেশিগুলো দুর্বল হয়ে যাওয়া
lনিয়মিত ব্যায়াম না করা
lসামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করা
lঅথবা কোমরে কোনো ধরনের আঘাত পাওয়া ইত্যাদি।
লক্ষণ ও উপসর্গ
lকোমরে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া
lপায়ে ব্যথা ও ঝিনঝিন ভাব হওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়া বা ভার ভার লাগা
lমেরুদণ্ড নড়াচড়া করতে কষ্ট হওয়া
lদৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটা
lহাঁটাচলায় কষ্ট পাওয়া
lহাঁচি-কাশি দিলে কোমরে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া
lঘুমের সময় পাশ ফিরতে অসুবিধা হওয়া
lঅনেক সময় সমস্যা যদি বেশি বেড়ে যায়, তখন প্রস্রব ও পায়খানা ধরে রাখতে অসুবিধা হয়। এমতাবস্থায় সার্জারি অপরিহার্য।
প্রতিকার ও চিকিৎসা
lওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
lফিটনেস বজায় রাখা
lস্বাস্থ্যকর জীবন ধারণ পদ্ধতি অবলম্বন করা
lসুষম খাবার খাওয়া
lসঠিক দেহ ভঙ্গি বা পজিশন বজায় রাখা
lতীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
নিয়মিত শরীর চর্চা করা ইত্যাদি।
করণীয়
কোমরে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং নিয়মিত ফিজিওথেরাপি গ্রহণের পাশাপাশি তাঁর পরামর্শগুলো মেনে
 চলুন । 

[ফিজিওথেরাপি কনসালন্ট্যান্ট ]
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে অফে রিয়াল-ম্যানসিটি মুখোমুখি 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির খারাপ সময় যেন শেষই হচ্ছে না। নতুন ফরম্যাটের গ্রুপ পর্বে খারাপ সময় পার করেছে দু’দলই। ম্যানসিটি গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিতে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে। 

রিয়াল মাদ্রিদের প্লে অফে উঠতে খুব বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। তবে সেরা আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল। 

সেরা আটে থাকতে না পারার শাস্তিই যেন পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেরা ষোলোয় যাওয়ার লড়াইয়ে প্লে অফ খেলতে হবে রিয়ালের। ওই লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। 

আগামী ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফের প্রথম লেগ মাঠে গড়াবে। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে প্লে অফের দ্বিতীয় লেগ। শেষ ষোলোর লড়াই ৪ ও ৫ মার্চ এবং ১১ ও ১২ মার্চ মাঠে গড়াবে। 

কোয়ার্টার ফাইনাল হবে ৮ ও ৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় লেগ হবে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল। এছাড়া ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম লেগ এবং ৬ ও ৭ মে দ্বিতীয় লেগ মাঠে গড়াবে। ৩১ মে হবে ফাইনাল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ