Samakal:
2025-04-02@18:13:33 GMT

আপনার শিশু কম ঘুমাচ্ছে

Published: 20th, January 2025 GMT

আপনার শিশু কম ঘুমাচ্ছে

বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ঘুমের ব্যাপারটিও সমান গুরুত্ব পেয়ে থাকে। ঘুম নিয়ে উদ্বিগ্ন নন এমন মা-বাবা কমই আছেন। ঘুম শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ভালো ঘুম না হওয়া তাদের স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। কিছু বিষয় সম্পর্কে সতর্ক হলে আপনি আপনার শিশুকে একটি ভালো ঘুম উপহার দিতে পারেন। অনেক শিশু দিনে বেশি ঘুমায় আর রাতে প্রায় নির্ঘুম কাটায়। এসব শিশুকে নিয়ে বাবা-মায়ের বিড়ম্বনা  বেশিই।
কারণ তাদের সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মায়েরও প্রায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। মূলত নবজাতক শিশুদেরই এ সমস্যাটি বেশি হয়। কারণ শিশু দীর্ঘদিন মাতৃগর্ভে থাকার কারণে পৃথিবীর আলোতে এসে দিনরাত বুঝতে পারে না। তা ছাড়া শিশুর মগজের যে অংশ দিন ও রাত বুঝতে পারে, তা পরিণত হতেও সময় লাগে। এ কারণেই মূলত নির্ঘুম রাত কাটায় নবজাতক। 
এভাবে চলে শিশুর বেশ কয়েক মাস। সব শিশুই প্রয়োজনমতো ঘুমিয়ে নেয়। তাই সে যতক্ষণ ঘুমাতে চায়, ঘুমাতে দিন। শরীর খারাপ থাকলে, বিশেষ করে শিশুর পেটে ব্যথা হলে শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। পেটের ব্যথা বা ইনফেনটাইল কলিকের শিকার বাচ্চারা সারারাত কান্নাকাটি করতে পারে। যাদের সন্তান রাতে না ঘুমিয়ে সারাদিন ঘুমিয়ে কাটায়, তাদের বিড়ম্বনা সবচেয়ে বেশি। 
কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে শিশু দিন ও রাতের পার্থক্য দ্রুত বুঝতে পেরে দিনে জেগে থেকে রাতে ঘুমাতে শুরু করে। ঘরে উজ্জ্বল আলো জ্বালিয়ে রাখুন দিনের বেলায়। পরস্পরের সঙ্গে কথা বলুন, বাচ্চার সঙ্গেও কথোপকথন চালান। মিউজিক ও টিভিও চালাতে পারেন। দিনের বেলা অতিথি এলে শিশুকে ঘুম থেকে তুলতে সংকোচ করবেন না। দিনের বেলায় শিশুকে একেবারে নির্ঘুম রাখতে হবে তা নয়। শিশু দুই থেকে চারবার এক-দেড় ঘণ্টার ঘুম দিতে পারে।
 সন্ধ্যা ৬টার পর শিশু যেন না ঘুমায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেলা, কথা বলা ও মিউজিক এ সময় চালিয়ে যেতে হবে। বাচ্চা যেন দুধ খেতে খেতে ঘুমিয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে পায়ে আলতো টোকা দিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুছে দিলে শিশু ফ্রেশ থাকবে, এতে ঘুমাবেও কম। সন্ধ্যা থেকে শিশুকে জাগিয়ে রাখলেও রাত ৮-৯টার পর থেকেই শিশুর ঘুমের আয়োজন শুরু করে দিন। ঘরের সব বাতি নিভিয়ে দিন। ঘুমের আগে শিশুকে সর্বশেষ রাত ১০টার দিকে খাওয়াতে চেষ্টা করুন। এরপর শিশু না ঘুমালেও তাকে বিছানায় নিয়ে যান, রাতে ঘুমানোর জন্য ছড়া বা গান শোনাতে পারেন। টিভির ধারে-কাছেও নেবেন না। কোলে নিয়ে বা দোলনায় দোল দিয়ে শিশুকে তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়ানো যায়।  সতর্ক থাকতে হবে ছয় মাস পর্যন্ত। কারণ শিশুর ঘুমের প্রকার ও সময় নির্দিষ্ট হতে ছয় মাস লেগে যায়। ঘুমের এসব পদ্ধতি অবলম্বনের সময় খুব কঠোর হওয়া যাবে না। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভক্তদের ডাকে ফিরছে ‘অড সিগনেচার’

সিলেটে এক কনসার্টে যাওয়ার পথে গত বছর নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ব্যান্ড অড সিগনেচারের। এতে ব্যান্ডটির গিটারিস্ট ও ভোকাল আহাসান তানভীর পিয়াল ও মাইক্রোবাসের চালক আবদুস সালাম মারা যান। দুর্ঘটনায় আরও তিন ব্যান্ড সদস্য আহত হন। এরপর ব্যান্ডটির সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
বেশ কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগীতবিষয়ক বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ভক্তরা নিয়মিতই ‘অড সিগনেচার’কে ফেরার আকুতি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু মানসিক ট্রমা ও পরিবার থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ফেরা হচ্ছিল না সদস্যদের। তবে এবার ভক্তদের জন্যই ফিরছে ব্যান্ডটি। চলতি মাসেই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছে ‘অড সিগনেচার’।

ব্যান্ডটির কি–বোর্ডিস্ট ও ভোকাল অমিতাভ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ মাসেই ফিরছি। কবে ফিরছি, তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে এখন থেকে নিয়মিতই আমাদের পাওয়া যাবে। চলতি মাসের শেষেই সবকিছু জানা যাবে।’

গত পরশু ফেসবুক পোস্টে ‘অড সিগনেচার’–এর ফেরার ঘোষণা আপ্লুত করেছে ভক্তদের। মন্তব্যের ঘরে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘উদ্‌গ্রীব হয়ে অপেক্ষায় আছি, আমার প্রথম আবেগ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনাদের আবারও মঞ্চে দেখার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না।’ প্রয়াত ব্যান্ড সদস্য পিয়ালকে নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘পিয়াল ভাইকে অনেক মিস করব।’

২০১৭ সালে যাত্রা করে অড সিগনেচার, বিশেষ করে তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে ব্যান্ডটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ‘আমার দেহখান’ গান অড সিগনেচারের অনুরাগীদের ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের মুখে মুখেও ফেরে। এর বাইরে ‘ঘুম’, ‘প্রস্তাব’, ‘দুঃস্বপ্ন’, ‘মন্দ’ শিরোনামের গানগুলোও শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ