ঠান্ডা-গরমের তারতম্য, সর্দি-কাশি, বৃষ্টিতে ভেজা বা গরমে ঘামা– এসব পরিস্থিতি সাইনোসাইটিসের রোগীদের জন্য কষ্টকর বটে। এই সময়ে তাদের অসুখ বেড়ে যায়। সাইনাস হলো, মাথার খুলির হাড়ের মধ্যে অবস্থিত কিছু ফাঁকা জায়গা। চোখের পেছনে, নাকের হাড়ের দুই পাশে এ রকম ফাঁকা জায়গা আছে। এই ফাঁকা জায়গায় সর্দি জমে সাইনোসাইটিস বা প্রদাহ হয়। এতে বাতাস আটকে যায় এবং মাথাব্যথা করে। এই মাথাব্যথা সাধারণত কপালে বা গালের দু’দিকে কিংবা চোখের পেছনে অনুভূত হয়। সকালের দিকেই শুরু হয় এবং একটু নিচু হলে ব্যথা বাড়ে। ওপরের পাটির দাঁতেও ব্যথা হতে পারে। সঙ্গে জ্বর জ্বর ভাব বা শীত শীত অনুভূত হতে পারে। মাথাব্যথার কারণ খুঁজতে গিয়ে সাইনোসাইটিস পাওয়া যায়। এই সময়ে বন্ধ নাক, সর্দি, জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা হলে সাইনোসাইটিসে ভুগছেন কিনা লক্ষ্য করুন।
এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে কিছু পরামর্শ
lনাকে স্যালাইন স্প্রে বা ড্রপ দিলে জমে থাকা মিউকাস বা আঠালো পদার্থ নরম হয়ে আসবে এবং সাইনাসের ফোলা বা ব্লক কিছুটা হলেও দূর হবে।
আর্দ্র ও গরম বাতাস বন্ধ সাইনাস খুলে নিতে সহায়ক। রাতে ঘুমানোর আগে খানিকটা বাষ্প নিলে রাতে আরাম পাবেন। গরম পানি দিয়ে গোসল করে বাথরুমে কিছুটা সময় কাটান। অথবা গামলায় গরম পানি নিয়ে বাষ্প নাক দিয়ে টেনে নিন।
lখুব মাথাব্যথা করলে এক টুকরো কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে কপাল, চোখের ওপর বা নাকের দু’পাশে সেঁক দিন। এতেও সাইনাসের বদ্ধতা কাটবে এবং আরাম পাবেন ।
lসব সময় অ্যান্টিবায়োটিক লাগবে তা নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গজারিয়ায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ নৌযান শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর আতাবর (৬৫) নামের এক নৌযান শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের চর বলাকী গ্রামসংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রবিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় নোঙর করা একটি বাল্কহেড থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিহত আতাবর ঢাকার ধামরাই উপজেলার ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এমভি এস.এম. এন্টারপ্রাইজ নামক বাল্কহেডে লস্কর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নৌযান শ্রমিক নূর ইসলাম জানান, রবিবার বিকেলে পাথর খালাস শেষে তেতৈতলা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বাল্কহেডটি নোঙর করে রাখা হয়। ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেছন থেকে আরেকটি বাল্কহেড — এমভি তোহা এন্টারপ্রাইজ — ধাক্কা দিলে আতাবর মাথায় আঘাত পেয়ে ছিটকে নদীতে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে খোঁজাখুঁজি শুরু হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।