Samakal:
2025-04-23@15:53:43 GMT

অহেতুক পেইনকিলার নয়

Published: 20th, January 2025 GMT

অহেতুক পেইনকিলার নয়

চিকিৎসকরা একটা জিনিস বারবার বলে থাকেন, যেটি আমরা সবাই শুনেছি। তা হলো, অকারণে মুড়ি-মুড়কির মতো পেইনকিলার খাওয়া, বা পেনইকিলারের অভ্যাস তৈরি করে ফেলা একেবারেই উচিত নয়। এর কারণ কী, সেটি এবার জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমত, মানুষের শরীর এবং মস্তিষ্ক এমনভাবে তৈরি, যে কোনো একটা পদার্থের দ্বারা যদি ক্রমাগত তাকে আঘাত করা হয়, তাহলে শরীরও নিজেকে তেমনভাবে সইয়ে নেয়। সে আঘাত তার গা-সওয়া হয়ে যায়। পেইনকিলারও যদি ক্রমাগত খেতে থাকি, তাহলে শরীরের ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ, যে ব্যথা আগে তিনটে পেইনকিলারে কমে যেত, ক্রমাগত খেতে খেতে দেখা যায়, সেই একই ব্যথায় ছটা পেইনকিলারেও কাজ হচ্ছে না। এগুলো সবই হয় রিসেপ্টর মডিফিকেশনের ফলে। নিউরাল পাথওয়েগুলো অ্যাডজাস্ট হয়ে যাওয়ার জন্য। এসবের ফলে নির্দিষ্ট ডোজে তার কার্যকারিতা দেখাতে পারে না। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে, ‘রেজিস্ট্যান্স টু দি অ্যানালজেসিক এফেক্ট অব পেইনকিলারস’। দরকারের সময় পেইনকিলার খেলেও যে কাজ হয় না, এটি তার বড় কারণ।
দ্বিতীয়ত, কেউ যদি দীর্ঘ সময় ধরে পেইনকিলার খান, তাহলে তার কিডনির ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। দেখা গেছে, এ রকম ক্ষেত্রে অনেক সময় কিডনিতে অ্যাকিউট টিউবুলার নেক্রোসিস বা অ্যাকিউট ইন্টারস্টিশিয়াল নেফ্রাইটিস এই জাতীয় রোগ হয়। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে পেইনকিলার খেয়ে যাওয়ার ফলে অনেক সময়ই তা পর্যাপ্ত পরিমাণে কিডনি থেকে বেরতে পারে না। কিডনিতেই জমে থাকে। ফলে কিডনির এমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, যার জন্য পরে ডায়ালাইসিস নিতে হতে পারে। কিডনির সাময়িক ক্ষতি, যা পরে দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে এর অন্যতম বড় কারণ কিন্তু পেইনকিলার। এটি বেশি খেলে লিভারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অর্থাৎ লিভার খারাপ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা, ক্রনিক লিভার ডিজিজ বা অ্যাকিউট হেপাটিক ইনজুরি হতে পারে। অনেক সময়ই দেখা গেছে, অতিরিক্ত পেইনকিলার খাওয়ার জন্য অ্যাকিউট হেপাটিক ফেইলুর হয়ে গেছে। পেইনকিলার লিভারকে এতটাই চাপ দিয়েছে, লিভার ফেইল করেছে। লিভার এবং কিডনির ওপর পেইনকিলারের যে একটা অদ্ভুত খারাপ প্রভাব পড়তে পারে, এর জন্যও ইচ্ছামতো, বিনা প্রেসক্রিপশনে পেইনকিলার খাওয়া একদম চলবে না। এটা সত্যি, যে কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে পেইনকিলার না দিয়ে উপায় থাকে না চিকিৎসকদের। কাকে কোন পেইনকিলার, কতটা ডোজে দেবেন সেটি একমাত্র চিকিৎসকই ঠিক করে দেবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আগে স্থানীয় নির্বাচন চান চরমোনাই পীর ও ভিপি নূর

জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে দল দুটির বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। 

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতেও ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন দল দুটির নেতারা। 

ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ একমত হয়েছে।

রেজাউল করীম বলেন, গত ৫৩ বছরে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে নির্বাচনের মাধ্যমে অযোগ্য লোকজন ক্ষমতায় বসে দেশকে অশান্ত করেছিল। সে জন্য আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে একমত হয়েছি।

ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক বলেন, কিছু মৌলিক সংস্কার না হলে দেশে আবার স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শাসন তৈরি হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নির্মম গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাইছি। তাদের রাজনীতির সুযোগ পাওয়া উচিত নয়।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ অনেক আগে থেকেই একমত বলে জানিয়েছেন নূর। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে স্থানীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে যারা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও নির্বাচন বাতিল করা দরকার। গত আট মাসে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় সেবা পেতে মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কিছু মানুষ জোর করে আধিপত্য বিস্তার করছে। সে জন্য স্থানীয় নির্বাচন কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারের জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। আবার জাতীয় ঐকমত্যেরও প্রয়োজন। অন্তত তার আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে। বাংলাদেশ এমন রাষ্ট্র হবে, যেখানে ইসলামী আদর্শবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা হবে না।

বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ছিলেন। এছাড়া গণঅধিকারের মুখপাত্র ফারুক হাসান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ