Samakal:
2025-04-23@12:15:44 GMT

মাইগ্রেনের ব্যথায় খাবার

Published: 20th, January 2025 GMT

মাইগ্রেনের ব্যথায় খাবার

মাইগ্রেনের ব্যথা যার একবারও হয়েছে, সে-ই বুঝবে এর সংকট। মাথায় তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে বেশিক্ষণ কোনো কাজেই মন দেওয়া সম্ভব হয় না। এদিকে, কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই, যা কমিয়ে দিতে পারবে মাইগ্রেন। কিছু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য অনেকটাই সাহায্য করতে পারে মাইগ্রেনের সঙ্গে লড়তে। এমন কিছু খাদ্য আছে, যা মাইগ্রেন বাড়িয়ে দেয়। তেমনই আবার কিছু খাবার আক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। 
কোন ধরনের খাবার খেলে এই রোগের ক্ষেত্রে ভালো?
বাদাম
বাদামে থাকে ম্যাগনেশিয়াম। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। এই সব বস্তুই সাহায্য করে মাথাব্যথা কমাতে। ফলে কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে এ স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নেওয়াই যায়। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করা যেতেই পারে।
ওটস্
রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই খাদ্য। রক্তে এটি বেশি থাকলে অনেক ধরনের শারীরিক অসুবিধা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথাও খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
পানি 
বহু শারীরিক সমস্যার সমাধানই করতে পারে পানি । মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও সে কথা সত্যি। নিজের শরীরে পানির মাত্রা যথেষ্ট রাখা প্রয়োজন। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে এই অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। v
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে তামাকের ব্যবহার কমেছে

বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে তামাকের ব্যবহার কমেছে ৭ শতাংশ। তামাক নিয়ন্ত্রণে এমন অগ্রগতি থাকলেও ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখনও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

আজ বুধবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের প্রবণতা ও পূর্বাভাস’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন বিএমইউর জার্নালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অধ্যাপক ড. এম মোস্তফা জামান। সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মো. মামুনুর রশিদ।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫-৬৯ বছর বয়সী বাংলাদেশীদের তামাক ব্যবহার (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ২০০৯ সালে ৫৪ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৪৭ শতাংশে নেমেছে। ধূমপানের হার ২৭ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশ এ মেনেছে। ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার ৩৬ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশ। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে পুরুষদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হ্রাস নারীদের তুলনায় কিছুটা বেশি। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় তামাক ব্যবহার কমলেও শহুরে অঞ্চলে হ্রাসের হার বেশি স্পষ্ট।

এম মোস্তফা জামান বলেন, বর্তমান যে হারে তামাক ব্যবহার কমছে, এই গতিতে এগোলে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর বৈশ্বিক লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়। তথ্য বিশ্লেষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি (অসংক্রামক রোগ) প্রতিরোধ রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বর্তমান নীতিমালার গতি দ্বিগুণ করতে হবে।

গবেষণায় সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জোরদার করে বর্তমান হ্রাসের হার ত্বরান্বিত করতে হবে। ব্যবহারিক গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নীতি ও আইনের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে, যাতে অপর্যাপ্ত হ্রাসের কারণ চিহ্নিত করা যায়।

ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, তামাক ব্যবহার বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য দায়ী এবং উদ্বেগজনক। এই ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে গণমানুষকে সম্পৃক্ত ও সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তামাক ব্যবহারের মাত্রা ও ঝুঁকি শহর ও গ্রাম পর্যায়ে আলাদাভাবে তুলে ধরা জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মন্তব্যে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়, তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও কঠোর নীতি ও সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ