Samakal:
2025-03-03@20:05:30 GMT

২০ হাজার মানুষ পেল কম্বল

Published: 20th, January 2025 GMT

২০ হাজার মানুষ পেল কম্বল

তীব্র শীতে বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতার্ত এমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও ফরিদপুরের পাঁচটি এনজিও। ফরিদপুর পৌর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ড ও ১২টি ইউনিয়নের ২০ হাজার শীতার্তের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত…

এবার দেরিতে এলেও বেশ জেঁকে বসেছে শীত। ফরিদপুরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামীণ বিস্তীর্ণ জনপদে কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়া। গ্রাম ও শহরের নিম্ন আয়ের মানুষ যখন শীতে কষ্ট পাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে শুরু হয় কর্মসূচি।
শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান এ.

কে. আজাদের নির্দেশনায় জানুয়ারির মাঝামাঝি ৯ দিনব্যাপী শুরু হয় শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মযজ্ঞ। ১৯ জানুয়ারি শেষ হয় কর্মসূচি। আয়োজন চলাকালে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন স্থানে ২০ হাজার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয় হয় শীত নিবারণের কম্বল। শীতে এমন উপহার পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষ।
৯ দিনব্যাপী যে সব এলাকায় কম্বল বিতরণ করা হয়েছে সেগুলো হলো– নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর, আলিয়াবাদ, অম্বিকাপুর, ঈশান গোপালপুর, মাচ্চর, গেরদা, কানাইপুর, চাঁদপুর, চর মাধবদীয়া, কৈজুরী ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন এবং ফরিদপুর পৌর এলাকা। 
বিশেষ করে চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ শীতে বেশি নাকাল হয়ে পড়ে। শীতের পাশাপাশি ধু-ধু বালুচরের কনকনে হাওয়া বিপন্ন করে তোলে জীবন। তাদেরই একজন স্থানীয় ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড় এলাকার নবীরন বেগম। মাঝ বয়সী এই নারী শীতবস্ত্রের জন্য কারও কাছে যেতে পারেননি। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে কম্বল নিতেও লজ্জাবোধ করছিলেন তিনি। এক সময়ের ভালো অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের অনেক মানুষ নদীভাঙনের কবলে পড়ে এখন নিঃস্ব। কম্বল পেয়ে চোখে জল আসে তাঁর। আশপাশে দেখা মেলে এমন অনেক মানুষের, যাদের অবস্থা নবীরনের মতোই।
শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় সম্পন্ন হয় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ। এ কাজে সমকাল সুহৃদ সমাবেশসহ ফরিদপুরের পাঁচটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা– এফডিএ, বিএফএফ, একেকে, এসডিসি এবং পিডব্লিউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয়।
ব্যাংকটির ফরিদপুর শাখার ম্যানেজার কেএম আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ৯ দিনব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ  অনুষ্ঠানগুলোয় উপস্থিত ছিলেন হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন, পরিচালক মো. বেলাল হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, এফডিএর উপদেষ্টা আজাহারুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক আবু সাহের আলম, এসডিসির নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান, পিডব্লিউর নির্বাহী পরিচালক হাফিজুর রহমান, একেকের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল জলিল, উপপরিচালক বিএম আলাউদ্দীন, বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক আ ন ম ফজলুল হাদি সাব্বির, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ফরিদপুরের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সহসভাপতি হারুনার রশীদসহ বিভিন্ন ইউনিটের সুহৃদরা। 
আবুল কালাম আজাদ বলেন, শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ. কে. আজাদের নির্দেশনায় ব্যাংকটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাদের অনুদান এবং বাস্তবায়নকারী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে সুশৃঙ্খলভাবে প্রান্তিক মানুষদের হাতে শীতবস্ত্রগুলো পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
আনিসুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে আমরা প্রকৃত দুস্থদের তালিকা করে স্লিপ পৌঁছে দিই, যাতে সুশৃঙ্খলভাবে প্রকৃত দরিদ্র ব্যক্তি কম্বলটি পায়। আশা করি, আমাদের এই কর্মতৎপরতায় ফরিদপুরের শীতার্ত  মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়েছে। 
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, ফরিদপুর

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ তবস ত র ব তরণ জ ল ল ইসল ম শ তবস ত র ব তরণ সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ