কুয়াশার চাদর
রাশেদ আহমেদ
স্নিগ্ধ সকাল জাগে কুয়াশার চাদরে,
মাঠভরা ধান গুমরে মরমে,
নদীর তীরে ঝুলে থাকে ধোঁয়া,
যেন প্রকৃতি দেয় নিঃশব্দ চিৎকার।
গাছের পাতায় জমে শিশিরের বিন্দু,
কুয়াশায় ঢেকে দেয় মাটির গন্ধ।
সূর্যের আলো ফুটে ধীরে ধীরে,
সবুজ মাঠ হাসে সোনার শিখরে।
মানুষের চোখে স্বপ্নের মায়া,
কুয়াশা ঢেকে দেয় যত কষ্টের ছায়া।
আবরণ এ যেন প্রকৃতির খেলা,
শীতের দিনে কুয়াশারই ভেলা।
তোমার মনে যদি হারানোর বেদন,
কুয়াশার চাদরে খুঁজে নাও সুধা।
শীতল সকাল, স্নিগ্ধ অনুভব,
প্রকৃতি জানায় শান্তির আহ্বান।
মাঘের শীত
শাহানাজ শিউলী
দিবানিশি কাঁপছে মানুষ
কাঁপছে শীতে দেশ,
ঠান্ডা হাওয়া কনকনে শীত
এই তো মাঘের বেশ।
প্রভাত রবি পড়ল ঢাকা
কুজঝটিকার ঘোরে,
পাতায় পাতায় শিশির নীহার
পড়ছে হিমেল ভোরে।
হিমেল বাতাস শীতের জ্বালা
বাড়ছে দিনে দিনে,
অসহায় মানুষ কাঁপছে শীতে
গরম কাপড় বিনে।
ভেজা ভেজা শিশির ছোঁয়ায়
গা শিউরে ওঠে,
একটুখানি রোদের আশায়
খোকা-খুকি ছোটে।
শীতের ভয়ে লুকিয়ে এখন
থাকছে বনের বাঘ,
নাও না বিদায় এবার তুমি
শীতের মাসি মাঘ।
ভালোবাসার খোঁজ
মকবুল মজুমদার
ভালোবাসার মানুষ আমি
কোথায় খুঁজে পাই,
ভালোবাসা ছাড়া ভবে
আর কিছু না চাই।
বিধি, ভালোবাসার মাঝে আমি
বেঁচে থাকতে চাই।
জনম গেল হেলায়-খেলায়
আপন মানুষের ছলনায়,
দিন-বসন্ত গেল চলে
ফিরে কি পাব তায়!
বিধি, ভালোবাসার সুহৃদ আমি
খুঁজি-ফিরি তাই।
মিছে ভালোবাসা দিয়ে
জীবন-ক্ষণ নিল কেড়ে
এমনি করে আর কতকাল
বাঁচব এই ধরায়।
বিধি, স্রষ্টার ভালোবাসা নিয়ে
বেঁচে থাকতে চাই।
আলোর ভুবন
এসডি সুব্রত
কেউবা কানা মনের চোখে
কেউ স্বার্থের টানে
দলকানা আর মনকানায়
বসায় হাটবাজার
বেচাকেনা হয় সেথায়
অন্ধকার গোপন কোণে।
কানায় কানায় এক হলে
আলোর পথ হয় রুদ্ধ,
মনকানাদের মনের কালো
ঢেকে রাখে সকল আলো
আলোর ভুবন আঁধার করে
মনকানারা সংগোপনে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ
দেশের আবহাওয়া বৈরী অঞ্চল চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে আজও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে দূর্বিষহ পরিস্থিতি। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। মানুষের পাশাপাশি এই তাপদাহে কষ্টে প্রাণীকুল। পুড়ছে ফসলের মাঠ।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) জেলার ১ম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর বেলা ১২ টা ও বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হবে। এছাড়া গত ২৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২৪ এপ্রিল ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, আজ (শুক্রবার) সকাল ৬টায় দিনের শুরুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, “ভৌগোলিক দিক থেকে চুয়াডাঙ্গা উষ্ণ অঞ্চল। এখানে গরমের সময় যেমন গরম বেশি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, তেমনি শীতের সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।”
কৃষিবিদদের মন্তব্য, তাপে চিটা হতে পারে নাবী বোরো ধানে। এছাড়া অন্যান্য ফসল এবং আম ও লিচুর ক্ষতি হতে পারে। এসময় ফসলের জমিতে ঘন ঘন সেচ দেওয়া ও আম লিচুর গাছে পানি স্প্রের পরামর্শ দিচ্ছেন। হাসপাতালে বেড়েছে গরমজনিত ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসক এই তাপপ্রবাহে বাসিপচা খাবার ও পানীয়জল গ্রহণে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/টিপু