নোয়াখালী জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী সরকারি কলেজ। কলেজটিতে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকলেও নেই মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা।

যোহরের সময় ছাত্ররা কলেজের মসজিদে নামাজ আদায় করেন। কিন্তু জায়গার অভাবে নামাজ আদায় করতে পারছে না নারী শিক্ষার্থীরা। এতে করে কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

নারী শিক্ষার্থীরা জানান, সালাতের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় তারা নামাজ আদায় করতে পারছে না। কলেজের অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা দূর থেকে আসেন। বাড়ি ফিরতে ফিরতে নামাজের সময় শেষ হয়ে যায়। ছাত্রীদের আলাদা নামাজের জায়গা থাকলে তারা সময়মতো নামাজ আদায় করতে পারতেন। কলেজের মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা যতদ্রুত সম্ভব নামাজ আদায়ের নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করতে কলেজ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রাজিয়া সুলতানা বলেন, “আমাদের কলেজে মেয়েদের নামাজের জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। অনেকে দূর থেকে ক্লাস করতে আসেন। ফলে সময়মতো নামাজ আদায় করতে পারছেন না। কলেজ প্রশাসন যদি আমাদের নামাজ আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা দেন, তাহলে এটা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করতে সাহায্য করবে।”

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আদিবা সুলতানা বলেন, “কলেজে মেয়েদের নামাজের জন্য ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। এটা একটা ভালো উদ্যোগ হবে কলেজ প্রশাসনের জন্য। কলেজ প্রশাসনকে অতিদ্রুততার সঙ্গে নামায রুমের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, “নোয়াখালী সরকারি কলেজের মতো এত বড় কলেজে আমাদের মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের জায়গা নেই, এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এটার ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করবো। কারণ নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজ বা প্রার্থনার রুমের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি এবং প্রয়োজনীয় বিষয়।”

ঢাকা/সুমাইয়া/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব যবস থ কল জ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি ছাড়া সব পদেই আ.লীগের জয়জয়কার

মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে আওয়ামীপন্থিরা ১৪টিতে জয় পেয়েছেন। সভাপতি পদ ছাড়া অন্য সব পদে তারা জয়ী হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী এমদাদুল হক খান। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়াকে ৭৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

এদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে ১৫৬ ভোটে পরাজিত করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মাহাবুব হোসেন (শাকিল)। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট ও জালালুর রহমান পেয়েছেন ১৩০ ভোট। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম মিয়া পেয়েছেন ২৯ ভোট (নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় পুনরায় গণনা অথবা লটারি করে বিজয়ী প্রার্থী নির্বাচন করা হবে)। সহ-সভাপতি পদে মাহবুব হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে শাকিলা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মশিউর রহমান পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ পদে সুজন ভৌমিক, সম্পাদক (লাইব্রেরি) পদে মুনীর হাসান, সম্পাদক (মহরার) পদে এ কে এম আজিজুল হক মুকুল নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী ৫টি পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিজয়ী ৫ জন হলেন সৈয়দা তাহমিনা খানম, এনামুল হক, আবদুস সালাম, ইকবাল হোসেন ও আবু সুফিয়ান। এ ছাড়া সম্পাদক (অ্যাপায়ন ও বিনোদন) পদে বদরুন নাহার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম মাওলা আকন্দ মুঠোফোনে জানিয়েছেন, মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ছাড়া ১৪টি পদেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী কিংবা সমর্থক বিজয়ী হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সরাসরি আওয়ামী লীগের পদে থাকা কোনো নেতা অংশগ্রহণ করেননি। আওয়ামী লীগের কোনো আইনজীবী নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তিনিও অন্য সবার মতন বিজয়ী হতেন বলে আমি মনে করি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন।

তবে এমদাদুল হক খান সভাপতি পদে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সমর্থন নিয়েই বিজয়ী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, সভাপতি পদে আওয়ামী লীগের কেউ প্রার্থী না হওয়ায় তাদের সমর্থক আইনজীবীরা নির্বাচনে মূলত এমদাদুল হক খানকেই ভোট দিয়েছেন। সেকারণেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া পরাজিত হয়েছেন।

মাদারীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান বলেন, এমদাদুল হক খানকে নির্বাচিত করায় সব আইনজীবীদের ধন্যবাদ। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তার বিজয়ে আমরা আনন্দিত।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য মাদারীপুর আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন জানান, সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুজন সমান ভোট পাওয়ায় তাদের ছয়মাস করে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ