নোয়াখালী কলেজে ছাত্রীদের নামাজের জায়গা নেই
Published: 20th, January 2025 GMT
নোয়াখালী জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী সরকারি কলেজ। কলেজটিতে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকলেও নেই মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা।
যোহরের সময় ছাত্ররা কলেজের মসজিদে নামাজ আদায় করেন। কিন্তু জায়গার অভাবে নামাজ আদায় করতে পারছে না নারী শিক্ষার্থীরা। এতে করে কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
নারী শিক্ষার্থীরা জানান, সালাতের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় তারা নামাজ আদায় করতে পারছে না। কলেজের অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা দূর থেকে আসেন। বাড়ি ফিরতে ফিরতে নামাজের সময় শেষ হয়ে যায়। ছাত্রীদের আলাদা নামাজের জায়গা থাকলে তারা সময়মতো নামাজ আদায় করতে পারতেন। কলেজের মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা যতদ্রুত সম্ভব নামাজ আদায়ের নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করতে কলেজ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রাজিয়া সুলতানা বলেন, “আমাদের কলেজে মেয়েদের নামাজের জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। অনেকে দূর থেকে ক্লাস করতে আসেন। ফলে সময়মতো নামাজ আদায় করতে পারছেন না। কলেজ প্রশাসন যদি আমাদের নামাজ আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা দেন, তাহলে এটা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করতে সাহায্য করবে।”
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আদিবা সুলতানা বলেন, “কলেজে মেয়েদের নামাজের জন্য ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। এটা একটা ভালো উদ্যোগ হবে কলেজ প্রশাসনের জন্য। কলেজ প্রশাসনকে অতিদ্রুততার সঙ্গে নামায রুমের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, “নোয়াখালী সরকারি কলেজের মতো এত বড় কলেজে আমাদের মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের জায়গা নেই, এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এটার ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করবো। কারণ নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজ বা প্রার্থনার রুমের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি এবং প্রয়োজনীয় বিষয়।”
ঢাকা/সুমাইয়া/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব যবস থ কল জ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আ.লীগের রাজনৈতিক ফয়সালা করতে হবে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত গণহত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর দেখতে চাই। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফয়সালা এ বাংলার মাটিতে করতে হবে।”
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল, যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, গত ১৫ বছরে নানাভাবে জুলুম করেছে তাদের বিচার এ বাংলার মাটিতে হতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিচার বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। বিচারের পরে যে সংস্কার কার্যক্রম, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন রয়েছে, দ্রুত জাতীয় সংলাপে গিয়ে আমাদের জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র তার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।”
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও ফ্যাসিবাদের কারণে সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বারবার দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। পুরাতন সংবিধান এবং পুরাতন শাসন কাঠামো রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মান সম্ভব নয়। কেবলমাত্র সরকার পরিবর্তন করেই কিন্তু আমাদের জনগণের কল্যাণ সম্ভব নয়। প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা বলেছি, ২৪ সালে যেহেতু গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, ছাত্র জনতা রক্ত দিয়েছে, আমরা কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, শাসন কাঠামোসহ পুরো সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করে নতুন একটি বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই। যেখানে প্রকৃত গণতন্ত্র, ইনসাফ এবং সাম্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, “ডান বামের বাইনারি বিভাজনের মধ্যে না গিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি মধ্যমপন্থি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমরা সফল হতে পারি, সে অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। সেই অঙ্গীকারগুলো যেন আমরা বাস্তবে রূপ দিতে পারি, সেজন্য সারা দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন আমরা প্রত্যাশা করি।”
তিনি বলেন, “সারা দেশের অনেক মানুষ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যে সব জেলা, উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি তার কর্মপরিধি ও বিস্তৃতি লাভে সমর্থ হবে বলে আমরা আশাবাদী। এই সময়ে রায়েরবাজারে আমাদের আরেকটা কর্মসূচি রয়েছে। আমাদের যারা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রয়েছেন, আমরা তাদের কবর জিয়ারতে যাব। তাদের জন্য দোয়া করব।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারি, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মেহেরাব সিফাতসহ নেতাকর্মীরা।
এর আগে, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে দুইটি দ্বিতল বাসসহ কয়েকটি গাড়ি করে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হন নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা। দ্বিতল বাস থেকে একে একে নামেন নাহিদ, হাসনাত, সারজিসসহ অন্যান্যরা। এসময় দলটির স্থানীয় সমর্থক, নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী কমিটির শতাধিক সদস্য তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
সকাল ৮টায় শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা। পরে তারা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাড়ে ৮টায় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন এনসিপি নেতারা।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ