গাজীপুরে সাফারি পার্কের সীমানাপ্রাচীর টপকে একটি পুরুষ নীলগাই বেরিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। সোমবার পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরের নীলগাইটির খোঁজ মেলেনি। সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। 

পার্কের দায়িত্বে থাকা সহকারী বনসংরক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পার্কে মোট ১১টি নীলগাই রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি স্ত্রী লিঙ্গের। এখন এই প্রাণীর প্রজনন মৌসুম চলছে। এ সময়ে এক পুরুষ নীলগাই অপর গাইয়ের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি পুরুষ নীলগাই এক স্ত্রী নীলগাইয়ের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি করছিল। এক পর্যায়ে পার্কের পুরোনো দেয়াল টপকে পুরুষ নীলগাইটি বেরিয়ে যায়। 

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নীলগাইয়ের সন্ধান চলছে। ২-৩ জায়গায় দেখাও গিয়েছিল। কিন্তু ধরা সম্ভব হয়নি। মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায়। অপরিচিত এ প্রাণী দেখে কেউ যেন আক্রমণ না করে, সে বিষয়ে সতর্ক করার জন্য আশপাশের অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সন্ধান পেলে কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পার্কের জীর্ণ সীমানাপ্রাচীর সংস্কার জরুরি, তা নাহলে আরও বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ