গাজীপুরে সাফারি পার্কের সীমানাপ্রাচীর টপকে একটি পুরুষ নীলগাই বেরিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। সোমবার পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরের নীলগাইটির খোঁজ মেলেনি। সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। 

পার্কের দায়িত্বে থাকা সহকারী বনসংরক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পার্কে মোট ১১টি নীলগাই রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি স্ত্রী লিঙ্গের। এখন এই প্রাণীর প্রজনন মৌসুম চলছে। এ সময়ে এক পুরুষ নীলগাই অপর গাইয়ের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি পুরুষ নীলগাই এক স্ত্রী নীলগাইয়ের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি করছিল। এক পর্যায়ে পার্কের পুরোনো দেয়াল টপকে পুরুষ নীলগাইটি বেরিয়ে যায়। 

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নীলগাইয়ের সন্ধান চলছে। ২-৩ জায়গায় দেখাও গিয়েছিল। কিন্তু ধরা সম্ভব হয়নি। মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায়। অপরিচিত এ প্রাণী দেখে কেউ যেন আক্রমণ না করে, সে বিষয়ে সতর্ক করার জন্য আশপাশের অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সন্ধান পেলে কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পার্কের জীর্ণ সীমানাপ্রাচীর সংস্কার জরুরি, তা নাহলে আরও বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ