ঠাকুরগাঁওয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় ৩ সাংবাদিক খালাস
Published: 20th, January 2025 GMT
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে বরাদ্দের বিপরীতে রোগীর খাবার পরিবেশনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় অনলাইন নিউজপোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমের জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানুকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ, সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোতালেব হোসেন এ রায় দেন। একই মামলায় আরো দুই সাংবাদিক দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের আব্দুল লতিফ লিটু ও রহিম শুভকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামি পক্ষের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ্ আল নোমান ও রংপুর জজ কোর্টের আইনজীবী ফাহিম আহম্মেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
দৈনিক ভোরের কাগজের প্রকাশনা বন্ধের প্রতিবাদ ডিআরইউয়ের
জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ প্রচারের আহ্বান
আইনজীবী আব্দুল্লাহ্ আল নোমান বলেন, ‘‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে তথ্য ও প্রমাণ হাজির করতে না পারায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত। আমরা এ রায়ে খুশী। কারণ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সাংবাদিকরা যেন সত্য তুলে ধরতে না পারে, তাদের কলম থামাতে এ আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।’’
এ মামলায় সাংবাদিক তানুকে গ্রেপ্তার করা হলে দেশের সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ জানান। পরে ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে তাকে জামিন দেন আদালত।
ঢাকা/হিমেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা